নজর২৪, কক্সবাজার- কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিয়ের আসরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন বরের চাচা। সেই সঙ্গে উভয় পক্ষের মোট আট জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে কনের চাচাতো ভাইসহ দু’জনকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৮ এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার আনুমানিক রাত ৮টার দিকে বালুখালী পানবাজার পুলিশ ক্যাম্প-০৯ এর ব্লক সি/১৯ এ অবস্থিত শেডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তার বিয়েকে কেন্দ্র করে কনে খালেদা বিবির (১৬) পরিবারের সদস্যদের সাথে বর মো. ইদ্রিস এর পরিবারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত বরের চাচা মোহাম্মদ বেলালকে (৪০) এপিবিএন পুলিশ উদ্ধার করে তার্কিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতরা হলেন- বরের বাবা মো. ইউনুস (৪৫), বরের চাচা মো. আইয়ুব (৩৫), প্রতিবেশী শিশু মো. উমর (৯), মো. আইয়ুব (২৭), সিরাজুল ইসলাম (৩৫), কনের বাবা আব্দুর রহমান (৫২), মামা হারেসুর রহমান(২০) এবং আনোয়ার সাদেক(২১)। আহতদের মধ্যে মো. ইউনুছ, মো. উমর, মো. আইয়ুব ও মো, আব্দুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, বর মো. ইদ্রিসের সঙ্গে কনে খালেদা বিবির প্রেমের সম্পর্ক ছিল গত ৪ বছর ধরে। ঘটনার ৪ দিন আগে খালদা ইদ্রিসের বাসায় চলে গেলে বরের পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। তবে এই বিয়ে মেনে নেয়নি কনে পক্ষ। শনিবার বরের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে কনে পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বর পক্ষের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতেই এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
৮-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন বলেন, নিহত বেলালের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটক দুইজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।