নজর২৪, ঢাকা- রোহিঙ্গা নয়, ধ.র্ষ.কদের নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানোর দাবি তুললেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, “আপনারা রোহিঙ্গাদের জন্য যে ভাসানচর ঠিক করেছেন, ওই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর দরকার নাই। এই ধর্ষকদের পাঠান। ধর্ষকদের সঙ্গে পাপিয়ার দলবলসহ পাঠিয়ে দেন। ওইখানে এরা নিরাপদে থাকুক। বাংলাদেশের মানুষ ও নিরাপদে থাকবে।”
বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আলাল বলেন, “আওয়ামী লীগকে মনে করিয়ে দেই, ১৯৫৮ সালের এই দিনে ইস্কান্দার মির্জাকে সরিয়ে আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করেছিল। আপনারা কি সেই দিকে যাচ্ছেন? ইয়াসমিনকে ধর্ষণ করেছিল কিছু দুষ্ট প্রকৃতির পুলিশ কনস্টেবল। তখন আপনারা সারা দেশে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। আপনাদের হাজার-হাজার নারী কর্মী রাস্তায় নেমে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। ইয়াসমিনের বিচার বেগম খালেদা জিয়া করেছে, বিএনপি করেছে।”
আরও বলেন, “আজ আপনাদের নেতা-কর্মীরা, কিছু পুলিশ ও কর্মকর্তারা ধর্ষণের মহোৎসব করছে। আমার মনে হয়, রোহিঙ্গাদের জন্য যে ভাসানচর ঠিক করা হয়েছে, ওই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর দরকার নাই এই ধর্ষকদের পাঠান।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক সময়ে দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “ওবায়দুল কাদের সাহেব প্রায়ই কথায় কথায় বলেন, ছাড় দেওয়া হবে না, ছাড় দেওয়া হবে না। আরে কিসের ছাড়? এটা কি আড়ং-মিনা বাজার যে যাবে ফিফটি পার্সেন্ট, সেভেন্টি পারসেন্ট ডিসকাউন্ট ছাড় পাবে। আর কেন বলেন প্রতিবাদ করার দরকার নাই, সরকার ব্যবস্থা করছে। প্রতিবাদ আপনারা করেন নাই? ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম কি একটা বলেছিল আপনার নারী কর্মীরা মাথায় গামছা বেঁধে রাস্তায় নেমে পড়েছিল। আজ কোথায় তারা? তাদের বিবেক নাই? তাদের সন্তান নাই? তাদের বোন-মেয়ে নাই? সবগুলোকে বগলের তলে নিয়েও বঙ্গভবনে শেষ আশ্রয়স্থল হবে না আপনাদের।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।