নজর২৪ ডেস্ক- সাতক্ষীরায় চায়ের দোকানের ২০ টাকা বিল পরিশোধ করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মুজাহিদুর রহমান অন্তু নামে এক যুবলীগ নেতার হাতের চারটি আঙ্গুল কেটে নিয়েছে ছাত্রলীগ নেতারা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবলীগ নেতাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন ওই যুবলীগ নেতার বাবা। আহত মুজাহিদুর রহমান অন্তু সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইটাগাছা এলাকার আবুল হাসানের ছেলে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- ইটাগাছা এলাকার মৃত. গিয়াজউদ্দীনের ছেলে ও ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ হোসেন, একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন এবং শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার বাবু তালুকদারের ছেলে সোহেল রানা।
আহত অন্তুর বাবা আবুল হাসান জানান, গত বুধবার সকালে শহরের বাকাঁল এলাকায় রোজ মার্কেটে এক চায়ের দোকানের বিল পরিশোধের জন্য অন্তুর কাছে ২০ টাকা দাবি করে ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ, জাহিদ ও সোহেল। ওই টাকা দেওয়ার পরও তাদের সঙ্গে অন্তুর মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। পরে দুপুরে অন্তু অন্য কাজে শহরের উদ্দেশ্য রওনা দিলে তার পথরোধ করে ওই তিন ছাত্রলীগ নেতাসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন। তারা অন্তুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে আমার ছেলের বাম হাতের চারটি আঙুল কেটে চামড়ার সঙ্গে ঝুলে থাকে।
পরে অন্তরের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরতর আহত অবস্থায় মুজাহিদুর রহমান অন্তকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে হাত থেকে আঙুল বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আছাদুজ্জামান বলেন, ‘যুবলীগ নেতার বাম হাতের আঙুল কেটে নেওয়ার ঘটনায় আহতের বাবা আবুল হাসান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনজন এজহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’