মিজানুর রহমান, শেরপুর প্রতিনিধি: ‘জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেও নিজের ছেলের জীবনই বাঁচাতে পারলাম না। নিজের ছেলের স্বাভাবিক মৃত্যু দেখতে পারলাম না। বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ, এর চেয়ে আর কঠিন কিছুই নাই’ আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রাজধানীতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামানের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম।
শনিবার (০১ জুলাই) ভোরে রাজধানীর ফার্মগেটে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদীতে চলছে শোকের মাতম। শনিবার ভোরে তেজগাঁও রেল স্টেশন ট্রাফিক অফিসের দিকে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
মনিরের পরিবার জানায়, মোহাম্মদপুর থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান ঈদের ছুটি শেষে শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এসময় ফার্মগেট এলাকায় বাস থেকে নামার পর তার ওপর হামলা চালায় ছিনতাইকারীরা।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার তালুকদারবাড়ির আবুল কাশেম ও মোরছেদা বেগম দম্পতির আট সন্তানের দ্বিতীয় মনির। তার দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মনিরের ভাই রনি বলেন, আমার ভাই পুলিশে চাকুরি করত। তেইশ বছর ধরে সততার সঙ্গে সে কাজ করেছে। কাল রাতে ঈদ শেষ করে আমাদের সবার সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল ভাই। ভোরে খবর পেলাম ছিনতাইকারীরা আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
মনিরের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার করজোড়ে মিনতি, আমার এই ছেলের মৃত্যুর বিচার যাতে হয়। দ্রুত যাতে এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয়।
শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যদি এভাবে মারা যায়, এটা কষ্টের বিষয়। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আমার উপজেলার একজন সুযোগ্য পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুর জন্য আমরা শোকাহত। আমরা চাই এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক। অপরাধীরা আইনের আওতায় আসুক।
এসএইচ