নজর২৪ ডেস্ক- ধ.র্ষ.ণের শাস্তি বাড়িয়ে মৃ.ত্যুদ.ণ্ড করা হলে এ ধরনের অপরাধ কমে আসবে বলে মত দিয়েছেন রাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি বলেছেন, সরকার কিন্তু আগামীকালই বিষয়টা কেবিনেট মিটিংয়ে তুলবে। শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে দেওয়া হচ্ছে।
আজ রবিবার সকালে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এরপর আপিল বিভাগে ভার্চুয়াল আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মামলার শুনানিতে অংশ নেন। নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি আজ অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে প্রথম অফিস করেন।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিনকে দেশের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
নবনিযুক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ অপরাধ করতে তখন অনেকবার ভাববে। আমার মনে হয় সরকারের এই উদ্যোগটা যখন আইনে পরিণত হবে, তখন কিন্তু এটা অনেকখানি কমে যাবে।
তিনি বলেন, আমি তো আজকে কেবল বসলাম। আমি উনাদের (ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের) সাথে বসব বিকালে। বসে আমি দেখব কোন কোন মামলা (নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা) পেন্ডিং আছে। সেখান থেকে কিছু মামলা হয়ত রিভিশনের কারণে বন্ধ হয়ে আছে। সেগুলো খুজে বের করে সচল করার চেষ্টা করব। আর যেগুলো আপিলে আছে, সেগুলো শুনানি করে নিষ্পত্তির চেষ্টা করব।
বিচার বিভাগের চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মামলা জট কমানো। আমাদের দেশে অনেক মামলা রয়ে গেছে, অনেক মামলা জট হয়ে আছে। এই জট কমানো হচ্ছে বিচার বিভাগে আমার প্রধান চ্যালেঞ্জ। আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল কোর্ট প্রায় চার হাজার মামলার নিস্পাত্তি করে দিয়েছে। পুরনো মামলাগুলো সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শোনা হচ্ছে।
অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, আপনারা যদি আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন তাহলে দুর্নীতি বন্ধ করা অনেক সহজ হবে। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে যেকোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবো।’
অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে প্রথম কর্মদিবসে দু’জন অতিরিক্তি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগে অসুবিধার সৃষ্টি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে সবসময় আসা-যাওয়া থাকেই। ওনারা হয়তো অনেক দিন কাজ করেছেন, ব্যক্তিগত কোনো সমস্যার কারণে তারা হয়ত আর থাকছেন না। আমার সঙ্গে ওনাদের কথা হয়নি। এখন যদি তাদের পদত্যাপত্র গ্রহণ করা হয় তাহলে অবশ্যই আরও দুজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দেবে সরকার।’