আবদুল্লাহ রিয়েল,ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীতে স্কুলছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের মামলার আসামি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি তমিজ উদ্দিনকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসমাইল ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আলম মিয়াজী স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মতিগঞ্জ ভাদাদিয়া গ্রামের চুনি মাঝি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত নয়ন ওই উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
বিষয়টি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হওয়ার পর সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্দেশ ক্রমে মতিগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ তমিজ উদ্দিন নয়নকে স্থায়ী বহিস্কার করেছে।
পুলিশ, নির্যাতিতার পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, ভাদাদিয়া গ্রামের চুনি মাঝি বাড়ির মৃত সৈয়দ আহম্মদের ছেলে তমিজ উদ্দিন নয়নের বাড়ির সামনে একটি ফার্নিচার দোকান রয়েছে। গত ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে তার দোকানের এক কর্মচারীর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় তার দোকানে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
ঘটনাটি কাউকে জানালে তাকে ও তার বাবাকে হত্যার হুমকি দেয় নয়ন। বিষয়টি নয়নের স্ত্রী দেখে ফেললে তার মুখ বন্ধ করার জন্য নয়ন তাকে মারধর করে। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ায় এক কান দুই কান হতে হতে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ওই ছাত্রী তার মা-বাবার কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয়। নয়ন নির্যাতিত ছাত্রীর সম্পর্কে জেঠা হন।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আবদুর রহীম সরকার জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রাতেই তমিজ উদ্দিন নয়নকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার আয়ু নওশের জানায়, শুক্রবার দুপুরে ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। শারীরিক পরিক্ষা শেষে ভিকটিমকে ফেনীর জুডিশিয়াল মেজিস্টেট কোর্টের কামরুল ইসলামের আদালতে জবানবন্দি নেওয়া হয়। পরে একই আদালতে অভিযুক্ত তমিজ উদ্দিন নয়নকে হাজির করা হলে পুলিশ আসামীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম আসামীকে তাৎক্ষনিক আটক করেন। ইতিমধ্যে আমরা আসামীকে আইনি প্রক্রিয়ায় নিয়ে এসেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে ন্যায় বিচারের জন্য সকল প্রকার পদক্ষেপ নেয়া হবে।