প্রয়োজনে জীবন দিয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা করবো: ভিপি নুর

নজর২৪, ঢাকা- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আরেকটি ১/১১ ঘটাতে মরিয়া সরকার। এ বিষয়ে আপনারা সতর্ক থাকবেন। সরকারের এ চক্রান্ত কোনো দিনই আমরা সফল হতে দেবো না। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা করবো।

 

শুক্রবার (৯ অক্টোবর) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এসব কথা বলেন।

 

নুর বলেন, ‘আজ বাংলাদেশে গুঞ্জন উঠেছে যে, ভারত ২০০৮ সালে ওয়ান-ইলেভেন ঘটিয়ে এই তাবেদারী সরকারকে ক্ষমতায় রেখে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। আজ তারা আরেকটি ওয়ান-ইলেভেন ঘটাতে চাচ্ছে। আমরা এ সরকারের পতন চাই, সেটা গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে। সেটা কোনো ওয়ান-ইলেভেন করে নয়। যদি আরেকটা ওয়ান-ইলেভেন হয় তাহলে বাংলাদেশে যে অবশিষ্টটুকু আছে সেটুকুও আর থাকবে না। তাই সরকারকে অনুরোধ করব, আপনারা নিজ থেকে বিদায় নেন।’

 

আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে সাবেক এ ভিপি আরও বলেন, ‘বর্তমান এ জনরোষের ক্ষোভ থেকে বিস্ফোরণ ঘটার আগে আপনারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন। বাংলাদেশের যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সেই চেতনার বাংলাদেশ-কে প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে আজ আলোচনা করে কীভাবে সুশাসন নিশ্চিত করা যায়, আইনের শাসন নিশ্চিত করা যায় এবং কীভাবে ভারতের পেট থেকে বাংলাদেশ বের হয়ে আসতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।‘

 

নুর বলেন, আমরা এখানে সরকার পতনের জন্য আসি নাই। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা নিজেরাই বিদায় নেন। আলোচনায় এসেছে নোয়াখালীর ধর্ষক দেলোয়ার নির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্র দখল করেছে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য সারাদেশে এমন দেলোয়ার বাহিনী তৈরি করেছে। এই দেলোয়ার বাহিনী এখন মা, বোন, স্ত্রীদেরকে নিয়ে ধর্ষণ করছে।

 

তিনি আরো বলেন, সরকার যাই করুক না কেন তাদের হাতে এই দেশ আর নিরাপদ নয়। কাজে আমরা বলবো, আপনারা যতই ছাত্রলীগ-যুবলীগ হয়ে আন্দোলন দমনের চেষ্টা করেন না কেন জনগণ কিন্তু আজ রাজপথে নেমে গেছে। এই জনগণকে আর দমন করতে পারবেন না।

 

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ। এছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *