অন্তু দাস হৃদয়, স্টাফ রিপোটার- টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এক স্কুলছাত্রীর ঘাড়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে মতিউর রহমান নামের এক মাদরাসা ছাত্র। এ ঘটনার ২২দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। তাই মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বাধ্য হয়ে বিকেলে তিনি মেয়েকে নিয়ে টাঙ্গাইল আদালতে আসে মামলা দায়ের করতে।
এ সময় মেয়ের বাবা বলেন, তার মেয়ে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় পাশের বাড়ির আব্দুস সালামের ছেলে মতিউর রহমান প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। গেল (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মতিউর তার মেয়ের ঘরে ঢুকে কু-প্রস্তাব দেয় ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে মতিউরের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে মেয়ের ঘাড়ে আঘাত করে।
এ সময় মেয়ের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে মতিউর পালিয়ে যায়। পরে মেয়েকে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে তিনদিন ভর্তি রেখে মেয়ের চিকিৎসা দেয়া হয়।
হাসপাতালে নেয়ার পর তার আঘাতের স্থানে ২৫টি সেলাই করা হয়েছে। তিনি নিজে বাদি হয়ে ঘটনার পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের কাগজটি রেখে দিলেও পুলিশ আজ পর্যন্ত মামলা রেকর্ড করেনি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে আদালতে এসেছেন মামলা করতে। আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, তার মেয়েকে মতিউর উত্ত্যক্ত করে এ কথা মতিউরের বাবাকে একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি মতিউরকে শাসন করেননি। উল্টো মতিউরের সাথে তার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদ জানান, তার কাছে অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেনি। আসলে মামলা রেকর্ড করা হবে।