নজর২৪, নোয়াখালী- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
নির্যাতনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ইউপি সদস্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভপাতি।
গ্রেফতাররা হলেন, একলাশপুর ইউনিয়ের ৪নং ওয়ার্ডের মৃত হাজী গোলাম মোস্তফার ছেলে মামলার এজাহারনামীয় ৫ নম্বর আসামি সাজু (২১)। তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ভিকটিমের আদালতে দেয়া জবানবন্দি অনুসারে একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে সোহাগ মেম্বার (৪৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।
একইসঙ্গে এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি বাদলকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী।
এর আগে সোমবার রাতে বাদলকে ঢাকার কামরাঙ্গিরচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। আজ মঙ্গলবার বাদলকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানা গেছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ চৌধুরী জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে একলাশপুর থেকে ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে সোহাগকে এবং পৃথক স্থান থেকে সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সোহাগ এজাহারভুক্ত আসামি নন।
উল্লেখ্য, বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় বলে ভুক্তভোগী নারী (৩৭) মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন। ঘটনার ৩২ দিন পর গত রোববার ওই নারী বেগমগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করেন। একটি মামলা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে, অন্যটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে। দুই মামলাতেই নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন- বাদল, মো. রহিম, আবুল কালাম, ইস্রাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্যা। তাঁদের সবার বাড়ি বেগমগঞ্জে। তাঁরা সবাই একলাশপুরের দেলোয়ার বাহিনীর সদস্য। মামলায় দেলোয়ারের নাম নেই। তবে দুটি মামলায় অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনকে (২৬) অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, মামলার প্রধান আসামি বাদলকেও (২২) গ্রেপ্তার করা হয়।