বিএনপি ধর্ষণকারীরও দল: তথ্যমন্ত্রী

নজর২৪, ঢাকা- বিএনপি নারী ধর্ষণকারীরও দল’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

 

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও স্বাধীনতা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

 

ড. হাছান বলেন, ‘২০০১ সালে নির্বাচনের পরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে অন্তসত্ত্বা মহিলাসহ শত-শত নারীকে ধর্ষণ-নির্যাতন করা হয়েছে। সুতরাং বিএনপি শুধু খুনীর দল নয়, তারা ধর্ষণকারীরও দল। কারণ এই নারী ধর্ষণের কোনো বিচার তারা করেনি বরং দলগতভাবে তাদেরকে বাহবা দেয়া হয়েছে।’

 

বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির অন্য নেতারা গতকাল তাদের বক্তব্যে বলেছেন, আজ নাকি নষ্ট সময় যাচ্ছে। অথচ প্রকৃতপক্ষে তারাই রাজনীতিকে নষ্ট করেছিল। জিয়াউর রহমান দম্ভ করেই বলতেন যে, মানি ইজ নো প্রবলেম। বিএনপিই রাজনীতিতে কেনাবেচার হাট বসিয়েছিল। বিএনপির বড় বড় নেতা যারা আজ বড় বড় কথা বলেন তারা অনেকেই রাজনীতির হাটে বিক্রি হওয়া রাজনীতিবিদ। তারা যখন সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তখন মনে করতে হবে সময়টা ভালো যাচ্ছে।’

 

বাংলাদেশে গুম-খুনের রাজনীতি চালু করেছিল বিএনপি, খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা- এই কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু খুন নয়, বঙ্গবন্ধুহত্যার পর যাতে সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হয়, সেজন্য তারা সংসদে আইন পাস করেছিল। বিএনপির আমলে ২০০২ সালে অপারেশন ক্লিনহার্ট পরিচালনায় প্রায় শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আর এই সমস্ত হত্যাকাণ্ডের কোনও বিচার না হওয়ার জন্য তারা আবার ইমডেমনেটি দিয়ে হত্যাকাণ্ডকে আইনগত বৈধতা দিয়েছে। যারা এই ধরনের কাজ করে তারা যখন এ নিয়ে কথা বলে, তখন এটি হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়।’

 

মন্ত্রী এসময় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের রোল মডেল। জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তী, তার জীবনগাঁথা একটি সংগ্রামী জীবনের উপাখ্যান। পৃথিবীর সামনে তিনি এক অনুকরণীয় নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *