রাজিব আহমেদ রাসেল, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় একদিনে ৮ জন স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করেছেন বেলকুচি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুর রহমান।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এ বাল্যবিবাহগুলো বন্ধ করা হয়।
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুর রহমান জানান, শুক্রবার বিকাল ৪ টার দিকে বেলকুচি পৌরসভার চরচালা এলাকার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী (১৪), বিকাল ৫টায় উপজেলার গাড়ামাসী এলাকার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী (১২), সন্ধ্যা ৬ টায় সূবর্ণসাড়া এলাকায় দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৫), রাত ৮ টায় দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর পেস্তকপাড়া গ্রামের সালাম মার্কেট এলাকায় দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৪), রাত ৯টায় চন্দনগাতী দক্ষিণপাড়া এলাকায় ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী (১৩), রাত ৯টায় চন্দনগাতী দক্ষিণপাড়া এলাকায় একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী (১৭), রাত ১০টায় ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী (১২) এবং দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর পেস্তকপাড়া গ্রামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী (১৫) এর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।
তিনি আরো জানান, শুক্রবার দুপুরে হতে গভীর রাত পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিবাহ গুলো বন্ধ করা হয়। ৮টি বাল্যবিবাহের ছয়টিতে কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও দুইটিতে বর ও কনে উভয়ই অপ্রাপ্তবয়স্ক। বাল্য বিবাহগুলো বন্ধ করে সর্বমোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে বর ও কনের বাবার কাছ থেকে বর ও কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয়।
এসময় বাল্যবিবাহ গুলো বন্ধে সহযোগিতা করেন বেলকুচি থানার উপপরিদর্শক রবিউল, সহকারী উপপরিদর্শক জহুরুল ইসলাম, এ এসআই মোস্তাফিজ, পেশকার মোঃ হাফিজ উদ্দিন, বেলকুচি থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, বেলকুচি উপজেলার বর্তমান ইউএনও মোঃ আনিসুর রহমান সিরাজগঞ্জ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে ও ইউএনও বেলকুচি হিসেবে কর্মকালীন সময়ে ইতোপূর্বে আরও তিনবার একদিনে ৭টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।