পাবনায় নৌভ্রমণের আড়ালে চলছে কী?

নজর২৪ ডেস্ক- পাবনার চাটমোহরে চলতি বর্ষা মৌসুমে নৌভ্রমণ ও ভুড়িভোজের আড়ালে চলছে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’। দিনে-রাতে প্রকাশ্য চলা এ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে আন্তরিকতা দেখা যায়নি পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসনের। ফলে ক্ষোভ বিরাজ করছে বিলপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে।

 

সরেজমিনে উপজেলার হান্ডিয়াল ও নিমাইচড়া বিলে দেখা গেছে, বেশিরভাগ নৌভ্রমণের নৌকার সামনে দৃষ্টিকটু পোশাকে নাচছেন নর্তকীরা। সিনেমা স্টাইলে নর্তকীকে সঙ্গ দিচ্ছেন যুবক ও তরুণরা। গান ও বাদযন্ত্রের তালে চলছে এ নৃত্য। ছাউনির ভেতরেও চলছে নাচ। সেখানকার পরিবেশটা আর লজ্জাকর। তবে অন্য একটি নৌকার কাছাকাছি আসতেই নর্তকীরা সামনের অংশ থেকে দ্রুত চলে যাচ্ছে ছাউনির ভেতরে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কথিত এ সব নর্তকীরা মূলত যৌনকর্মী। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে এদের আনা হচ্ছে। বিনিময়ে এদের হাতে দেওয়া হচ্ছে মোটা টাকা। অভিযোগ, দিনে আয়োজকদের নৃত্যের মাধ্যমে আনন্দ দিচ্ছেন এরা।

 

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নর্তকী থাকা নৌকাগুলা গভীর বিলে চলে যায় রাতে। রাতভর বিলেই থাকে। রাত যত গভীর হয়, নৃত্যের সঙ্গে অশ্লীলতাও বাড়তে থাকে। এ ধরনের নৌকাগুলোর বেশিরভাগ অংশ কৌশলে পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখছেন নৌমালিকেরা।

 

হান্ডিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে এম জাকির হোসেন বলেন, আমিও শুনেছি। গ্রাম পুলিশ দিয়ে টহল দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, ওরা সংখ্যায় বেশি। তাই কিছু করা যায় না। তিনি দাবি করেন, এক বছর আগে ৪টি নর্তকীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে পিছু হটেছি।

 

হান্ডিয়াল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, দুই দিন আগে দুইজন মেয়েকে আটক করে চাটমোহর থানায় হস্তান্তর করেছি। ভ্রাম্যমান আদালত চালানো হলে বন্ধ হতে পারে এ অসামাজিক কার্যকলাপ। অসহায় প্রকাশ করে জানান,পুলিশ দেখলে মেয়েরা পানিতে ঝাঁপ দেয়। এতে অঘটন ঘটলে সে দায় নেবে কে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *