নজর২৪ ডেস্ক- সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পেঁয়াজ এখন থেকে অনলাইনে ঘরে বসেই কেনা যাবে। প্রতিকেজির দাম পড়বে ৩৬ টাকা। একজন গ্রাহক একবারে তিন কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। একবারে সরবরাহ বা ডেলিভারি চার্জ বাবদ সর্বোচ্চ ৩০ টাকা নিতে পারবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো।
আজ রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) এক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে টিসিবির পেঁয়াজ অনলাইনে বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি জানিয়েছেন, টিসিবির এর মাধ্যমে বড় ধরনের আমদানি ও সাশ্রয়ী মূল্যে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। যারা ট্রাক সেল থেকে কিনতে পারছেন না, তাদের জন্য টিসিবি ই-কমার্সের সহযোগিতায় সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আজ থেকে শুরু হলো টিসিবি’র ‘ঘরে বসে স্বস্তির পেঁয়াজ’ কর্মসূচি।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য পণ্যের মতো এখন সাশ্রয়ী মূল্যের পেঁয়াজও ক্রেতারা ঘরে বসে কিনতে পারছেন। ই-কমার্সের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রির ধারনাটি নতুন, এ ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আসতে পারে। আমরা থেমে থাকবো না, সমস্যার সমাধান করে এগিয়ে যাবো। দেশের অভ্যন্তরে দেশি ও আমদানিকৃত পর্যাপ্ত পরিমাণের পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। ভারত ইতোমধ্যে ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। এগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু করেছে। আশা করা যায় আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেবে ভারত সরকার। মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়ে গেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার এবার টিসিবির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির চিন্তা করছে। বড় ব্যবসায়ীরাও পেঁয়াজ আমদানি করে টিসিবিকে দেবেন।
পাঁচটি প্রতিষ্ঠান আপাতত এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। সেগুলো হলো চালডাল, স্বপ্ন অনলাইন, সিন্দাবাদডটকম ও সবজিবাজারডটকম। আগামীকাল থেকে বিডিসোল ও একশপ এ কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারে। পরে আরও প্রতিষ্ঠান যোগ হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আপাতত তিন দিনে ৫০০ কেজি করে পেঁয়াজ দেবে টিসিবি। একজন ক্রেতা একাধিকবার যাতে পেঁয়াজ না কিনতে পারেন, তা তদারকিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আপাতত এ সেবা ঢাকা ও চট্টগ্রামে সীমিত থাকবে।