স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকে- পাঁচ দিন বন্ধের পর শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভারতে আটকে পড়া পেঁয়াজ রফতানি শুরু করেন সে দেশের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আজ রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।
রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনও পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশ করেনি। নতুন করে নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানির সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ভারত থেকে শনিবার হিলি স্থলবন্দরে দিয়ে প্রায় আড়াই’শ মেট্রিক টন যে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে এসেছে, তা অধিকাংশই পঁচা। এ পঁচা পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
অতিরিক্ত গরমে পচে যাওয়া এসব পেঁয়াজ আড়তের সামনে পড়ে আছে। বিকট দুগন্ধে ছড়াচ্ছে পেঁয়াজগুলো। এতে শুধু ব্যবসায়ী নয়, পেঁয়াজ পচার গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী ও এলাকাবাসী। তাই, ব্যবসায়ীরা এসব পেঁয়াজ প্রতিবস্তা ৫০ থেকে এক’শ টাকা দরে বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে চরম লোকসানের মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে ভারতে আটকে থাকা আরো দুইশত টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক নিয়ে বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা বাংলাদেশী আমদানি কারক ব্যবসায়ীদের।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর যেসব পেঁয়াজ এলসি করা হয়েছিলো, সেই প্রায় আড়াই’শ মেট্রিক টন ১১ ট্রাক পেঁয়াজ রোববার ভারত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। বাকি আরো প্রায় দুইশত ট্রাক পেঁয়াজ এখনো ভারতের রাস্তায় আটকা পড়ে আছে।
তিনি জানান, প্রতিবছর চাহিদা থাকায় দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ২ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন হিলি আমদানিকারকরা। চলতি বছরের ৬ জুন থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ৩ মাসে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৫৭ হাজার মেট্রিক টন।পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বন্যা ও উৎপাদন সংকট দেখিয়ে হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। বারংবার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারত সরকারের এমন সিদ্ধান্তে পুঁজি হারাতে বসেছেন হিলির আমদানিকারকরা, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
এদিকে পচা পেঁয়াজ রাস্তার পাশে আড়ৎ গুলোর সামনে রাখায় গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকায়। দূর্ভোগে পথচারীরা আবার কেউ প্রতি বস্তা ৫০ থেকে ১শ টাকা কিনে নিয়ে যাচ্ছে এসব পেঁয়াজ। ভারতের অভ্যন্তরে আটকে থাকা পেঁয়াজ আমদানিসহ ক্ষতি পূরণের দাবি ব্যবসায়ীদের। অন্যদিকে আমদানির ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।