কেজি প্রতি ২৬ থেকে ২৭ টাকা দরে আলু বিক্রির নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার (১ নভেম্বর) থেকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে পরিপত্রে। পাশাপাশি কোল্ড স্টোরেজে আলুর সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে (প্রতি কেজি ২৬-২৭ টাকা) আলু বিক্রয় করতে একজন মনোনীত কর্মকর্তার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার (১ নভেম্বর) থেকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে হবে বলেও জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘আলু ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজ (হিমাগার) ও খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অত্যধিক দামে আলু বিক্রি করছেন। জনস্বার্থে আলুর বাজার স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে দ্য কন্ট্রোল অব এসেনশিয়াল কমোডিটিজ অ্যাক্টের ৩ (২) (ই) অধীনে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে জরুরি ভিত্তিতে তার জেলাধীন কোল্ড স্টোরেজগুলো থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে এক বা একাধিক স্টোরেজ তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব অর্পণ করবেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রয় করবেন। এ ছাড়া ক্রেতাকে কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে বিক্রির পাকা রশিদ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সরকার নির্ধারিত গত ১৪ সেপ্টেম্বর আলুর বিক্রয় মূল্য কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৬ থেকে ২৭ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যে কোল্ড স্টোরেজ ও খুচরা কোনো পর্যায়েই আলু বিক্রয় করা হচ্ছে না। এ প্রেক্ষাপটে কোল্ড স্টোরেজ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ প্রদান করা হলো।