নৌকার টিকিট না পেয়ে হতাশ রুবেল, করলেন ‘উল্টো প্রশ্ন’

নৌকার টিকিট নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে অনেক তারকা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। সেই তালিকা থেকে ঝরে পড়ছেন অধিকাংশ অভিনেতা-অভিনেত্রীই। মনোনয়ন ফরম কিনেও চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন তারা।

ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা মাসুম পারভেজ রুবেল ছিলেন এ তালিকায়। বরিশাল ৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে লড়তে চেয়েছিলেন বড়পর্দার অ্যাশন মাস্টার। কিন্তু নৌকার টিকিট ভাগ্যে জোটেনি। তবে কী এবার স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন?।

আরও পড়ুন-

বনানী বাদ দিয়ে নিজের ঠিকানা মাগুরা করতে ইসিতে সাকিবের আবেদন

যত দিন শরীর আছে তত দিন কাজ আছে: রচনা ব্যানার্জি

সংবাদমাধ্যমকে শুরুতেই তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে এখনও ভাবিনি। আমি আগামীকাল মঙ্গলবার বসব। সবার সঙ্গে কথা বলব। স্বতন্ত্র নির্বাচন করব কী না— তখন সিদ্ধান্ত নেব। তবে আমার যে খুব একটা ইচ্ছা আছে তা না।’

নায়ক হিসেবে দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা রুবেলের। ভক্তরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন তার মনোনয়ন নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে রুবেল বলেন, ‘আমার যারা ভক্ত তারা আশা করেছিলেন আমি মনোনয়ন পাব। কারণ আমাদের (আওয়ামী লীগের) সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছিলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে যদি ফিল্ম আর্টিস্টদের মনোনয়ন দেওয়া হয় তবে আমরা কেন দিতে পারব না। ওই জায়গা থেকে আমি উল্টো প্রশ্ন করতে পারি আমাকে দেওয়া হলো না কেন।’

তবে মনোনয়ন পাওয়ার মতো উপযুক্ত ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, দলীয়ভাবে আমার পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডসহ সবদিক যদি চিন্তা করা হয় সেখানেও আমাকে দেওয়ার মতো ইতিবাচক দিক ছিল। তারা দিতে পারতেন। তারপরও হয়তো হাইকমান্ডের সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ করিনি, তাদের পছন্দ হয়নি তাই তারা দেননি। যাদের পছন্দ হয়েছে তাদের দিয়েছেন। সে ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’

পারিবারিকভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী রুবেল। এমনটা উল্লেখ করে রুবেল বলেন, ‘সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে চলেছি, বঙ্গবন্ধুর জন্য কাজ করেছি। এটা যেমন সত্য সেজন্য কিছু পাওয়া হয়নি সেটিও সত্য। আমাদের পরিবারে আমরা তিন ভাই মুক্তিযোদ্ধা। এক ভাই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। ওই জায়গা থেকে আমরা পুরো পরিবার বঙ্গবন্ধুর কথা বলেছি। সে হিসেবে যদি বলি, তাহলে আমার যা পাওয়া উচিত ছিল তার এক শ ভাগের এক ভাগও পাওয়া হয়নি। সেজন্য আমার কোনো দুঃখ নেই। আল্লাহ চাননি তাই পাইনি। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তবে খারাপ যে লাগে না তা না। দুই এক সময় লাগে।’

অ্যাকশন কিং আরও বলেন, ‘আমি নিজে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বছরে চার থেকে পাঁচটি অনুষ্ঠান করি আমি। এখানেই থেমে গেলেন রুবেল। কথা না বাড়িয়ে জানালেন, দলের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিয়েছেন।’

এরপর স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনের বিষয়টি সামনে আনেন। বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে দল থেকে কোনো বিধিনিষেধ নেই। কেউ চাইলে করতে পারবেন। আমি তখন গণভবনে উপস্থিত ছিলাম। অতএব এক জায়গায় দুইজন প্রার্থী হতেই পারবেন । সেক্ষেত্রে আমার অপশন আছে। ঢাকার কোনো একটি আসন থেকে আমি প্রার্থী হতে পারি কিংবা অন্য কোথাও থেকেও হতে পারি।’

আরও পড়ুন-

আমেরিকায় মৌসুমীর ‘কন্ট্রাক্ট বিয়ে’!

ওমর সানীকে কানে কানে কী বললেন তানজিন তিশা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *