ঘাটাইল প্রতিনিধি: তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় উৎকর্ষে উন্নয়নের পথে ধাবমান বাংলাদেশের কোনো প্রান্তে এমন একটি গ্রামের কথা কল্পনাই করা যায় না। এটাই গ্রামের বাস্তব চিত্র। যেখানে বসবাস করছেন ৭/৮ সহস্রাধিক মানুষ। চেড়াভাঙা-দেওজানা (বগা খাড়ারাস্তা) পাকা করনের দাবি।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সংগ্রামপুর ইউনিয়নের বগা গ্রামে প্রায় কয়েক হাজার লোকের বসবাস। এখানে ৯০ শতাংশ লোকের প্রধান পেশা কৃষি কাজ। বিগত বছর গুলোতে গ্রামে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। একটি পাকা রাস্তা ছাড়া নেই ভালো কোনো রাস্তাঘাট। পাকা রাস্তাটি ২০ বছর আগে হয়েছিল, পাকুটিয়া থেকে দেওজানা যা গ্রামের দক্ষিণ পাশ দিয়ে গিয়েছে। এছাড়া কোন রাস্তায় ইটের সোলিং পর্যন্ত ও করা নেই।
বগা-পাকুটিয়া গামী লোকজনের যাতায়াতে এ কাচা রাস্তাটিই ব্যবহৃত হতো। চেংড়াভাঙা-দেওজানা (আনসার মিলিটারির বাড়ী পর্যন্ত) জনবহুল ‘বগা উওরা বাজার’ হয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার আশে পাশের জনবসতি কয়েক হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। অনেকে রাস্তার কারনে সফলতার মুখ দেখতে পারে না, যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ এর কারনে দিন মজুরের খরচ বেশি দাড়ায়, অনেক আছে সাধারন কর্মঠ মানুষ তারা ভ্যান, রিকসা, আটো চালিয়ে দিন আনে দিন খায়, তারা এই রাস্তার বেহাল অবস্থায় জন্য কাজ কর্ম করতে পারে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লাল মাটির পাহাড়ি অঞ্চল নিয়ে গ্রামটি গড়ে ওঠে। বর্তমানে এই গ্রামে বাস করেন সাত হাজারের বেশি মানুষ। গ্রামটি উপজেলার শেষপ্রান্তে হওয়ায় শুরু থেকেই অবহেলিত এ গ্রামের বাসিন্দারা। যে দলই ক্ষমতায় আসে না কেন, তাদের প্রতিনিধিরা শুধু ভোটের সময়ই এই গ্রামে আসেন। নির্বাচন শেষে তারা উধাও হয়ে যান। এলাকার মানুষ উন্নয়নের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তাদের কোনো দেখা পান না।
এই এলাকার মানুষ মূলত গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি লালন-পালন, কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু রাস্তা না থাকায় গ্রামের মানুষ তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যসহ যাবতীয় সবকিছু বাজারজাত করতে শহরে নিতে পারছেন না।
গ্রামে একটি মাদ্রাসা, স্কুল এবং হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা রয়েছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের বর্ষাকালে স্কুল ও মাদরাসায় যেতে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। সবাইকে সব কাজেই পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ।
গ্রামবাসী মো. মজিবর শেখ জানায়, আমরা গ্রামের মানুষ, গরু-ছাগল লালন-পালন সহ কৃষি কাজ করেই করেই আমাদের জীবন চলে। বৃষ্টি হলে বাড়ী থেকে বের হতে পারি না। বৃষ্টি হলে রাস্তায় চলতে পারি না। অনেক বছর ধরেই শুনে আসছি রাস্তা করে দেবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো খবর নেই।
মো. কাদের মেলেটারি জানায়, জনপ্রতিনিধিরা সবাই নির্বাচনের পর ব্যস্ত হয়ে যায়। আমাদের কেউ খোঁজ রাখে না। কিন্তু কাজের বেলায় কিছুই না। বর্তমান সরকার যখন দেশের মানুষের জন্য অনেক উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাচ্ছে। তখনো এলাকাবাসী জনপ্রতিনিধিদের মুখের ভুলিতে উন্নয়নেয় সপ্ন দেখে।
সংগ্রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন (বাবু) বলেন, ‘রাস্তাতো মাফ দিয়ে নিয়ে গেছে, যে কোনো সময় কাজ ধরবে, ১ কিমি রাস্তার কাজ হবে’।
এসএইচ