তিনদিন পর বাবুর্চির মরদেহ মিলল ট্রলারের কেবিনে

নোয়াখালী প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজের তিন দিন পর ট্রলারের কেবিন থেকে বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত আব্দুর রহমান (৫০) উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড়দেইল গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি ডুবে যাওয়া ট্রলারের বাবুর্চি ছিলেন।

রোববার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারের কেবিন থেকে নিখোঁজ বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার ৬ জুলাই সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরে এমভি ফাতেমা-১ নামে মাছ ধরার ট্রলারটি বৈরী আবহাওয়ার মুখে পড়ে ডুবে যায়। তাৎক্ষণিক ২০ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে নিখোঁজ ছিলেন ট্রলারের বাবুর্চি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে হাতিয়ার এম আলী লাল চর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি স্থানীয় জেলেরা অন্য বোটের সহযোগিতায় উদ্ধার করে। তখন ট্রলারের কেবিনের ভিতরে আব্দুর রহমানের মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহ পচে ফুলে উঠেছে। পরে সকাল ১১টার দিকে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন, নিখোঁজ থাকার পুর তিন দিন পর স্থানীয় জেলেরা অন্য বোটের সহযোগিয়া ডুবে যাওয়া ট্রলারটি তীরে নিয়ে আসে। পরে ট্রলারের ভিতর থেকে বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এসএইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *