ভূঞাপুরে কিশোরগ্যাংয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ নগরবাসী

তৌফিকুর রহমান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দিন দিন বেড়েই চলেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। আর তাদের অত্যাচারে দিশেহারা নগরবাসী।

জানা যায়, ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরপার কিশোরগ্যাংয়ের অভয়ারণ্য। সকাল সন্ধা কারণে অকারণে জটলা লেগেই থাকে সেখানে।সন্ধে নামলে তাদের রূপ যেন এক ভয়ানক রূপে রূপান্তর হয়। সেখানে অবাধে চলে মাদক সেবন এবং বেচাকেনা। অধিকাংশই স্কুল এবং কলেজ পরুড়া ছাত্র।

সরেজমিনে একাধিক বার গিয়ে দেখা যায় হরহামেশাই সেখানে চলে ইভটিজিং, মারামারি, ছিনতাই, এমনকি দুর দূরান্ত থেকে আসা প্রেমিক যুগলদের জিম্মি করে তাদের সর্বস্ব লুট করে নেয়। সেখান থেকে ভাই রক্ষা করতে পারেনি তার বোনকে। বোনের সম্মান রক্ষা করতে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে রক্তাক্ত হতে হয়েছে ভাইকে।

এলাকাবাসি জানিয়েছেন, কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা অধিকাংশই পরাক্রমশালী গ্রামের লোক হওয়ায় তাদের বাধা-প্রতিবাদ করতে কেউ আসেনা। প্রতিবাদ করলে তাদের গ্রামের মাস্তানরা সব একযোগে এসে হামলা করে। এতে বিচার তো পায়ই না উল্টো তাকে আবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়। রাস্তার মোরে তাদের বিভিন্ন নেতার নামে ক্লাব বানিয়ে, ক্ষমতাশীন দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় চলে তাদের এই নৃশংস অপকর্ম।

পুকুরের চারপাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, এই রাস্তায় চলাচল করতে আমাদের ভয় লাগে। প্রায় প্রতিনিয়তই এখানে বসে থাকা বখাটেদের আপত্তিকর কথা শুনতে হয়। তাছাড়া প্রতিদিন স্কুল কলেজের মেয়েরা এই রাস্তায় চলাচল করে। আমরা তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। আমরা এর প্রতিকার চাই।

শহরের প্রাণ কেন্দ্রে হর হামেশাই এমন ঘটনার প্রতিরোধে পুলিশ কতটুকু ভূমিকা পালন করছে তা জানতে চাইলে, ভঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ফরিদুল ইসলাম জানান, এর প্রতিকার করার জন্য শুধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ করলে চলবে না। সবাইকে সচেতন হতে হবে। আজ থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত সেখানে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

এ বিষয়ে প্রশাসন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, আমরা ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছি যাতে এমন কোন ঘটনা না ঘটে এবং যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এসএইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *