আমিনুল ইসলাম, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে সবজি ও মাছের বাজারে পূর্বের তুলনায় সবজি ও মাছের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে হাঁসফাঁস বেড়েছে। কাঁচাবাজার যেন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আর আসছেই না। গত কয়েকদিনের তুলনায় বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে।
রবিবার (১৪ মে) ফুলবাড়ি পৌর বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মাছ-মাংস-সবজিসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তি থাকায় কেনাকাটায় হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।
কাঁচা বাজার করতে আসা মো জব্বার আলী বলেন, আজকে অনেক বাজার করতে হয়েছে। দাম সবকিছুর বেশিই মনে হয়েছে। প্রতিটি জিনিসের দাম আগের তুলনায় বেশি মনে হয়েছে।
আজকে বাজারে বেগুন ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, সজনে ১২০ টাকা, লাউ ৪০-৬০ টাকা পিস, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, পেঁয়াজ দেশি ৬০-৬৫ টাকা, আদা ২৪০-২৫০ টাকা ও রসুন ১৪০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শাক ও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে লাল শাক ৪ টাকা আটি। পুইশাখ ৩০ টাকা কেজি।
এসময় কাচামাল বিক্রেতা সাজ্জামাল হোসেন বলেন, আমদানি কম থাকায় পূর্বের তুলনায়ক কাঁচামালের দাম বেশি। আমদানি আবারও বেশি হলে কাঁচামালের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
এদিকে মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায় ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ১৩০০ টাকা এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৫০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রুই মাছ ২৫০-৪০০ টাকা, কাতল ৩০০-৪০০, চিংড়ি ৬০০-৮০০ টাকা, কৈ মাছ ৩০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ২০০ টাকা, কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ কিনতে আসা রহমান ইসলাম বলেন, আমার কাছে সব মাছের দামই একটু বেশি মনে হয়েছে। আমি আজকে ছোট আকারের চিংড়ি মাছ কিনেছি ৮০০ টাকা কেজি দরে।
মাছ বিক্রেতা, মো রাসেল মিয়া বলেন মাছের খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাছ আবাদে খরচ বেশি হচ্ছে এতে করে অনেক ক্ষুদ্র মাছ চাষী মাছ চাষ থেকে সরে আসছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় মাছ চাষ কম হাওয়ায় মাছের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এসএইচ