নিজস্ব প্রতিবেদক, নজর২৪- পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে হয়নি বলেই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণ বনশ্রীর বনবিথী (১০ তলা এলাকা) সড়ক, দক্ষিণ মুগদা পাড়ায় মান্ডা খাল, দক্ষিণ মুগদা পাড়ায় মোস্তফা মাঝি মোড় এলাকায় অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্ভাব্য স্থান, যাত্রাবাড়ী কাঁচা বাজারের পাকা মার্কেট, শনির আখড়ায় এলাকায় মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার এবং সর্বশেষ জয় কালী মন্দির ও কাপ্তানবাজার সড়কের তিন রাস্তা মোড় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ দূষণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আপনার লক্ষ্য করেছেন, আমরা যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার ও এর আশপাশ এলাকায় আজ সরেজমিনে পরিদর্শন করলাম। কিছুদিন আগেও গণমাধ্যমে আপনারাই প্রতিবেদন করেছেন যে, ধলপুর এলাকা ও এর আশপাশ এলাকায় ফ্লাইওভার থেকে নেমে আসা পানির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি এবং এর ফলশ্রুতিতে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মূল কারণ আজ আমরা সরেজমিন পরিদর্শনে এসে দেখলাম, ফ্লাইওভার থেকে নেমে আসা পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থাপনা করা হয়নি। যার ফলে রাস্তার উপর সরাসরি ফ্লাইওভারের পানি আসে। এতে রাস্তারও ক্ষতি হয় এবং আশেপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কিন্তু ফ্লাইওভার যখন নির্মাণ করা হয়েছিল, তখন ফ্লাইওভার থেকে নেমে আসা পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থাপনা তাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। যদিওবা সেটা করা হয়নি। এ ধরণের অনেক অনিয়মের কারণ খুঁজে বের করতেই আমার এই সরেজমিন পরিদর্শন।
এ বিষয়টি সুরাহা করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে জানিয়ে তাপস আরও বলেন, আমরা ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেবো, সেতু বিভাগকে চিঠি দেবো। যাতে করে অচিরেই ফ্লাইওভার থেকে নেমে আসা পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়।
আজকের পরিদর্শনের আরও কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় আমাদের চলমান অনেকগুলো কার্যক্রম রয়েছে। সে কার্যক্রমগুলো তদারকির পাশাপাশি উন্নয়ন কাজগুলো যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়, সেটার তাগিদ দেওয়াও আজকের পরিদর্শনের অন্যতম আরেকটি কারণ।
পরিদর্শনকালে তিনি দক্ষিণ মুগদাপাড়া যাত্রাবাড়ী কাচা কাচা বাজার এলাকায় বৃক্ষরোপণ করেন। ডিএসসিসি মেয়র এ সময় প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনকে দক্ষিণ মুগদাপাড়া অবৈধ স্থাপনাগুলো এক সপ্তাহের মধ্যেই উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন।
এ সময় ডিএসসিসি মেয়রের সাথে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, সচিব আকরামুজ্জামানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।