বিনোদন ডেস্ক- বাসে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মাঝে গত বৃহস্পতিবার রামপুরা এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম পরা দুই কিশোরীর সঙ্গে পুলিশের বাগ্বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ওই দুই তরুণীর একজন সোহাগী সামিয়া জান্নাতুল ফেরদৌস। সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে তাকে ছাত্রী নয় বলে দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সোহাগী একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে যে চর্চা চলছে, তার পুরোটা ‘অপপ্রচার’ বলে দাবি করেন সোহাগী। তিনি বলেন, ‘আমি নাকি ছাত্রী না, আমি নাকি ৩০ বছরের একটি মহিলা। আমি নাকি স্কুল ড্রেস পরে শিক্ষার্থীদের উসকানি দিচ্ছি। প্রথমে বলতে চাই, আমাদের ছাত্ররা রোবট না। তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা আছে। দ্বিতীয়ত, আমি ৩০ বছরের মহিলা নই। আমার কাছে আইডি কার্ড আছে। আমি যে একজন ছাত্রী তার সব প্রমাণ আমি এখানে হাজির করেছি।’
নিজের রাজনৈতিক অবস্থানও পরিষ্কার করেন আন্দোলনকারী এই শিক্ষার্থী। বলেন, ‘আমি বুক ফুলিয়ে বলছি, আমি ২০১৭ সাল থেকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট করি। আমি ঢাকা মহানগরের দপ্তর সম্পাদক। প্রশ্ন এখানে না, আমি এ দেশের একজন নাগরিক। আমার সংগঠন করবার অধিকার রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে এটা যে, আমি কোনো রাজনৈতিক ইস্যু এখানে টেনে এনেছি কি না। আমি শুরু থেকেই এই আন্দোলনে যুক্ত। আমার কোনো স্লোগান, আমার কোনো বক্তব্যে কোনো রাজনৈতিক ইস্যু আনিনি, সেটা সবাই জানে।’
এ সময় সোগাহী নিজের পরিচয়পত্র তুলে ধরে বলেন, ‘আমি আমার আইডি কার্ড আপনাদের সামনে শো করছি। আমি খিলগাঁও মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পরিক্ষার্থী।’
এদিকে সোহাগীর ছাত্রত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খিলগাঁও মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক কে এম নাহিদ হাসান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওর (সোহাগী) নামে একটা মিথ্যা পোস্ট ছড়িয়ে গেছে। আসলে ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী। মানবিক বিভাগ থেকে এবার সে পরীক্ষা দিচ্ছে, আমি ওর সরাসরি শিক্ষক।’
খিলগাঁও মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাজী জুলকার নাইন সুলতান আলম বলেন, ‘সোহাগী সামিয়া জান্নাতুল ফেরদৌস আমাদের কলেজের ছাত্রী। আমাদের কলেজ থেকে সে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।’