নজর২৪, ঢাকা- ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী পরীমনির করা মার ধর, হত্যার হুমকি এবং ধ র্ষ ণচেষ্টার মামলার পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে নারাজি দিয়েছেন তিনি।
নারাজির জবানবন্দিতে পরীমণি বলেন, আমার জানা মতে মামলাটি ঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। মামলার তদন্ত একতরফা হয়েছে।
ঢাকার নারী ও শিশু নি র্যা তন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে বুধবার মামলাটির অভিযোগ গ্রহণ শুনানিতে প্রতিবেদনে নারাজির আবেদন করেন পরীমনি।
আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে পরে আদেশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে আদালতে উপস্থিত হন পরীমনি। আদালতে উপস্থিত হন নাসির উদ্দিন ও অমি। আদালত আসামিদের পূর্বশর্তে জামিনের আবেদনও গ্রহণ করেছে আদালত। তবে মামলার অন্য আসামি শহিদুল পলাতক।
পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জানা রিফাত শুনানিতে বলেন, আসামিরা জামিনের পর পরীমনিকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। আমরা নাসির-অমির জামিন বাতিলে আবেদন করছি। এছাড়া মামলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী, সিসি ফুটেজ তদন্তে উঠে আসে নাই। তাই আমরা অভিযোগপত্রের ওপর নারাজি দিয়েছি।
এদিকে নাসির-অমির আইনজীবী শুনানিতে বলেন, জামিনের কোনো শর্তভঙ্গ করেননি তারা। তাই তাদের জামিন আবেদন করছি।
এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এতে উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) শাহ শহিদুল আলমের নাম না থাকলেও তদন্তের সময় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় পুলিশ অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে।
আসামিদের মধ্যে নাসির ও অমি জামিনে আছেন এবং শহিদুলকে অভিযোগপত্রে ‘পলাতক’ দেখানো হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা শহিদুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন।
গত ১৪ জুন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির, অমি এবং আরও চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরীমনি।
সেদিনই উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাসির ও অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।