নজর২৪ ডেস্ক- ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের ৪ সহকর্মীকে তুলে নেয়া ও ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সামাবেশ করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ। এরই মধ্যে ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় নিখোঁজ দুই নেতাকে আটক দেখালেও সোহরাব হোসেন ও আসিফ মাহমুদ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশ গ্রেফতারকৃতদের ও নিখোঁজদের মুক্তির দাবি জানান সংগঠনটি। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে মৎস্যভবন, প্রেসক্লাব, পল্টন হয়ে গুলিস্তানের দিকে যান।
ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, ‘সারাদেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমাতে এই তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মাধ্যমে সরকার আন্দোলনকারীদের ভয় দেখাতে চায়। যেখানেই অপকর্মের ঘটনা ঘটবে, যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
গতকাল নিখোঁজ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদার খালা বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা কোথায় আছে? আমরা তাদের চিন্তায় ঘুমাতে পারছি না, খেতে পারছি না। কেউ অপরাধ করে থাকলে আইন অনুযায়ী বিচার করবে, তা না করে কেন সাধারণ পোশাকে তুলে নেওয়া হচ্ছে?’
তবে ঢাবি এক ছাত্রীর দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় সাইফুল ও নাজমুলকে গতকাল রবিবার রাতে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডিবির লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ। আজ বিকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এই দুজনকে আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে তাদের দুজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রী গত ২৩ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন, অপহরণ করে ধর্ষণ ও সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে চরিত্র হননের অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোতোয়ালি থানায় এই মামলা করেন। একই ঘটনায় দুদিন আগে লালবাগ থানায় একটি মামলা করেছিলেন তিনি।
মামলায় ৪ নম্বর আসামি সাইফুল এবং ৫ নম্বর আসামি নাজমুল। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরও এই মামলার আসামি।