সরকার কারও দয়ায় নয়, জনগণের ইচ্ছায় টিকে আছে: কাদের

নজর২৪, ঢাকা- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতা দেওয়া ও টিকিয়ে রাখার মালিক একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। সরকারকে সময় দেওয়ার বিএনপি কে? সরকার টিকে আছে জনগণের ইচ্ছায়, কারও দয়ায় নয়।

 

শুক্রবার (৯ অক্টোবর) বিকালে সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের আস্থা নিয়ে সরকার পরিচালনা করছেন। এ দেশের মাটির অনেক গভীরে আওয়ামী লীগের শেকড়, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ অপরাধীদের আশ্রয় দেয় না। আওয়ামী লীগ জনগণের ভালোবাসায় টিকে আছে, টিকে থাকবে।’

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, “ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে সরকার পতন আন্দোলনের কথিত ঘোষণা দিয়ে বিএনপি ধর্ষক এবং অপরাধীদের বাঁচানোর অপপ্রয়াস চালাচ্ছে কি না সেটাই আজ জনমনে প্রশ্ন।

 

“বিএনপি নেতারা বরাবরের মতো অভিযোগ করেছে, সরকার নাকি অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। সরকার অপরাধী ও অনিয়মকারীদের আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনে। বিএনপি যখন মাঠে নামে- প্রতিবাদ করে তার আগেই সরকার অপরাধীদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করে।”

 

দলীয় পরিচয় অপরাধীদের শাস্তি থেকে রেহাই দিতে পারবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সরকার অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় তো নয়ই, বরং শাস্তির বিধান আরও কঠোর করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইন সংশোধনের প্রস্তাব আসছে।”

 

সরকার কারও হাতেই ‘ইস্যু’ তুলে দেবে না জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “জনঘনিষ্ঠ ইস্যুতে শেখ হাসিনার সরকার দ্রুত রেসপন্স করে। এ পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের আমলে একটি অপরাধ তুলে ধরুন যে সরকার অপরাধীকে আশ্রয়-প্রশয় দিয়েছে, এমনকি দলীয় পরিচয়ে কেউ অপরাধ অপকর্ম করলে সরকার কাউকে কিন্তু আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি।”

 

তিনি বলেন, “বিএনপি কথায় কথায় বলে, ধর্ষণকারী ও অপরাধীদের সবাই নাকি সরকারি দলের। আজ কাগজে এসেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ধর্ষণের ভিডিও ছড়ানোর ন্যক্কারজনক অভিযোগ উঠেছে বিএনপির ছাত্র সংগঠনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও এক সদস্যের বিরুদ্ধে। মির্জা ফখরুল সাহেব এখন কী বলবেন?

 

“এ সকল অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য কি তাদের সরকারবিরোধী আন্দোলন? কাপাসিয়ার ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার করলে তখন তিনি বলবেন, সরকার নির্বিচারে তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে।”

 

বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মির্জা ফখরুল সাহেব আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, ২০০১-২০০৬ সাল সেই বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা কি আপনাদের মনে পড়ে?

 

“কীভাবে বাংলাদেশকে সন্ত্রাস-ধর্ষণের লীলাভূমিতে পরিণত করেছেন আপনারা। সেগুলো দেশের মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি। কত ফাহিমা, কত পূর্ণিমা, কত মহিমার আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারী হয়েছে। তবু আপনারা অপরাধীদের বিচার করেননি। অপরাধীকে শনাক্তও করেননি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *