নজর২৪, গাজীপুর- কাশিমপুর কারাগারের গেটে নিয়ে মায়ের মরদেহ দেখানো হলো দেশজুড়ে আলোচিত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে।
সোমবার রাত ১০টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের গেটে পাপিয়ার মায়ের মরদেহ নেওয়া হয়। প্রায় ২০ মিনিট কারাগারের গেটে ছিল পাপিয়ার মায়ের মরদেহ।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার হাসনা জাহান বিথী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার পাপিয়া ওই কারাগারে বন্দী রয়েছেন। সোমবার রাতে পাপিয়ার বড় বোন ও ভাই লাশবাহী গাড়িতে করে কারাগারের গেটে পাপিয়ার মায়ের মরদেহ নিয়ে যান। পরে কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে পাপিয়াকে কারাগারের গেটে নিয়ে তার মৃত মায়ের মুখ দেখানো হয়। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রায় ২০ মিনিট পর লাশবাহী গাড়িটি কারা ফটক এলাকা থেকে চলে যায়।’
উল্লেখ্য, নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়।
পরে পাপিয়ার ফার্মগেইটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব। অভিযান চালানো হয় পাপিয়ার নরসিংদীর বাড়িতেও।
র্যাবের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেল ভাড়া নিয়ে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ চালিয়ে যে আয় করতেন, তা দিয়ে হোটেলে বিল দিতেন কোটির টাকার উপরে।
গ্রেপ্তারের পর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। বিমানবন্দর থানায়ও তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর অধীনে একটি মামলা করা হয়। আর মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে সিআইডি আরেকটি মামলা করে। এরপর দুদকও পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে।