এমসি কলেজের ধর্ষকদের ‘সরাসরি ক্রসফায়ারে’ দেওয়া হোকঃ হানিফ

নজর২৪, ঢাকা- সিলেটের এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের ‘সরাসরি ক্রসফায়ারে’ দেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

 

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

 

হানিফ বলেন, এমসি কলেজে যা ঘটেছে, তা ‘খুবই দুঃখজনক, লজ্জাজনক এবং নিন্দাজনক’ ঘটনা। আমাদের এক বোনের উপর পাশবিক নির্যাতন করেছে। কোন দলের সেটার মধ্যে আমি যেতে চাই না। এটা নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি আছে, কেউ বলছে বর্তমান ছাত্রলীগের, কেউ বলছে ছাত্রদলের।”

 

দোষীরা যে দলেরই হোক, এই ঘটনা ‘চরম নিন্দনীয়’ মন্তব্য করে হানিফ বলেন, “আমার যদি সুযোগ থাকত, আমি এটাই বলতাম, এদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় নয়, এরদেরকে সরাসরি ক্রসফায়ারে দিয়ে দিতে।

 

“যদিও আমরা ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে, নির্বিচারের হত্যার বিরুদ্ধে। তারপরেও আমি বলি, এরা পশু, এরা কোনো মানুষের কাতারে পড়ে না। যারা এই ধরনের পাশবিক নির্যাতন করে, এদের সঙ্গে পশুর তুলনা করা ছাড়া উপায় নাই। এই পশুগুলোকে অহেতুক বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় না করিয়ে ধরে ধরে সরাসরি ক্রসফায়ার দেওয়া দরকার।”

 

এসময় তিনি বলেন, ‘আমরা জাতিকে আশ্বস্থ করতে চাই, বিএনপি আশ্রয় প্রশ্রয় ও উৎসাহ দিয়েছে বলে আমরা দিচ্ছি না। আমরা অপরাধিকে অপরাধি হিসেবে দেখছি। সে যেই দলেরই হোক না কেন। অপরাধি অপরাধিই। অপরাধি কে অপরাধি হিসেবে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।’

 

‘সারা দেশে এখন দু:সময়, দেশে এখন দুর্নীতি এবং নারী নির্যািতনের মহামারী চলছে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুর্নীতি বাংলাদেশে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে এ কথা আমি বলবো না। দুর্নীতিতো আপনারা হাওয়া ভবন খুলে শুরু করেছিলেন।রাষ্ট্রীয় ভাবে আপনারা দুর্নীতির দোকান খুলে, অফিস খুলে বসেছিলেন। তারেক রহমানকে কমিশন না দিয়ে সারা বাংলাদেশে কোন কাজ হতো না। আপনারা দুর্নীতিকে সমাজের এবং প্রশাসনের রন্ধে রন্ধে ডুকিয়ে দিয়েছিলেন।

 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির শিকড় একে একে উপড়ে ফেলেছেন। আপনারা দুর্নীতির আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন বলে সে সময় বেশি চোখে পড়েনি। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি বলে আপনারা এখন কথা বলছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোতে আপনারা বিরোধীতা করতেছেন, তার মানে আপনারা দুর্নীতিকে সমর্থন করছেন। দুর্নীতির পক্ষে দুর্নীতিবাজদের পক্ষে আপনাদের অবস্থান বলেই জনগন ধরে নেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *