নজর২৪, ঢাকা- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের (ছাত্র অধিকার পরিষদ) আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ধর্ষণ করেছেন। আর তাকে সহায়তা করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। এমনটাই অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী ঢাবি শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, হাসান আল মামুন আমার ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সুবাদে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয় ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই। নিজ বিভাগের সিনিয়র হওয়ায় ব্যক্তিগত সম্পর্কের একপর্যায়ে তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার সঙ্গে তার বিভিন্ন সময়ে ম্যাসেঞ্জার, ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কথোপকথন হয়। সেখানে আমাকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেওয়া হয়। গত ৩ জানুয়ারি দুপুরে হাসান আল মামুন আমাকে তার রাজধানীর নবাবগঞ্জ, মসজিদ রোড, ১০৪ নম্বর বাসায় যেতে বলে। সেখানে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে সে।
অভিযোগে তিনি বলেন, ঘটনার পর ৪ জানুয়ারি আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। ১২ জানুয়ারি আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় মামুনের বন্ধু সোহাগের মাধ্যমে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় আমি ক্যাম্পাস রিপোর্টারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে মামুন ও সোহাগ তা হতে দেয়নি। এর আগে মামুনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে রাজি হয়, কিন্তু আমি অসুস্থ হওয়ার পর সে নানা টালবাহানা শুরু করে।
ওই ছাত্রী আরও উল্লেখ করেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা পর্যায়ের কয়েকজন বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করতে চাইলেও আসামিরা তাদের ষড়যন্ত্রকারী বলে আখ্যা দেয়। এরপর আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় এবং আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়ায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
এদিকে সোমবার সন্ধায় ভিপি নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি থানায় ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে নুর ও তার সহযোগীরা শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবনের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় বিক্ষোভ মিছিল থেকে নুর ও তার ছয় সহযোগীকে রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদের মিন্টোরোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু বলেন, রাত দশটার দিকে নুরুল হক ও তার এক সহযোগীকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। আরেক জনের নাম সোহরাব হোসেন। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।