নওগাঁ প্রতিনিধি: সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি‘র দলীয় প্রতীক ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও আত্রাই উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শেখ মোঃ রেজাউল ইসলাম রেজু।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার নয়াপল্টনের বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে প্রর্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু নির্বাচিত হয়ে নওগাঁ-৬ আসনটি পূণরুদ্ধার করে দলের হাল ধরবেন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদের।
মৃত আলহাজ¦ শেখ মুনছুর রহমানের ছেলে শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু দীর্ঘদিন নওগাঁর আত্রাই উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক সভাপতি ও আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১ ছেলে ২ মেয়ে সন্তানের জনক।
বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে আমাদের পরিবার বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে অতপ্রোত ভাবে সম্পৃক্ত জানিয়ে শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু বলেন, শহীদ জিয়ার আদর্শকে আমি এবং তার পরিবার সবসময় ধারণ ও লালন করে আসছি। আমার পরিবার শহীদ জিয়া ও বিএনপি‘র আদর্শে বিশ্বাসী। যতদিন বেঁচে থাকবো তত দিন বিএনপি‘র আদর্শে চলবো। বিএনপির দু:সময়ে দলের পাশে থেকে দলকে সুসংগঠিত রাখতে চেষ্টা করেছি। দেশনেত্রী বেগম জিয়া ও দলের সকল রাজবন্দিদের মুক্ত করার লক্ষ্যে সব সময় রাজপথে থেকে আন্দোলন করেছি। উপ-নির্বাচনে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় তাহলে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া-পাওয়া পূরন করার চেষ্টায় কাজ করবো। আমি শতভাগ আশাবাদি যে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলেই দলবল নির্বিশেষে সকল শ্রেণিরপেশার মানুষ আমাকেই ভোট দেবে। এবং এ আসনটিতে জয়ী হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমি উপহার দিতে চাই।
উল্লেখ্য, গত ১৯৯১ ও ৯৬ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীর নির্বাচনে বিজয়ী হন । এর পর ২০০১ সালে নির্বাচনে পুনরায় আলমগীর কবীর বিজয়ী হন। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষের দিকে আলমগীর কবির এলডিপিতে যোগ দেন এবং একই বছরে এলডিপি থেকে পদত্যাগ করেন। এর পর ২০০৮ সালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরের ছোট ভাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন সদ্য প্রয়াত ইসরাফিল আলম এমপি।
এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরকে পরাজিত করে পূনরায় বিজয়ী হন ইসরাফিল আলম। মূলত এ আসনটি চারবার বিএনপির অধীনে থাকলেও ২০০৮ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। গত ২৭ জুলাই এমপি ইসরাফিল আলম মারা গেলে আসনটি শুন্য ঘোষনা করে আাগামী ১৭ অক্টোবর ভোট গ্রহনের দিন ধার্য করে তফশিল ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন।