ভাস্কর্য ভাঙচুরে হুকুমদাতার অভিযোগে খালেদা-তারেক-ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলা

নজর২৪, ঢাকা- বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় হুকুমদাতা হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা হয়েছে।

 

এছাড়া ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দেয়ায় হেফাজত ইসলামের ভারপ্রাপ্ত আমির জুনায়েদ আহমেদ বাবুনগরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ইসলামী শাসনতন্ত্রের সৈয়দ ফয়জুল করিমকেও মামলার আসামি করা হয়েছে।

 

আজ বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।

 

পরে মামলার বাদী এ বি সিদ্দিকী নিজেই বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

 

জানা যায়, ভাস্কর্য নিয়ে বক্তব্যকে মানহানিকর উল্লেখ করে দণ্ডবিধির ৫০০/৫০৬/৪২৭/১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে হেফাজত নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যকে আর্জিতে অভিযোগ হিসেবে আনা হয়।

 

অপরদিকে এই মৌলবাদী গোষ্ঠীকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা ও জোটগত রাজনীতির মাধ্যমে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ আনা হয় খালেদা-তারেক-ফখরুলের বিরুদ্ধে। হেফাজত নিয়ে আওয়ামী লীগের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনাও করা হয় এতে।

 

একই বাদী এবি সিদ্দিক এর আগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা করেন। গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।

 

আরও পড়ুন-

ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলতে চান না মির্জা ফখরুল

 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিনি চলমান ভাস্কর্য বিতর্ক নিয়ে কিছু বলতে চান না। কারণ, এটি তাঁর কাছে কোনো ইস্যু না। আজ মঙ্গলবার সকালে তিনি ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

 

মির্জা ফখরুলের ভাষায়, ‘ভাস্কর্য নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। এটা আমার কাছে কোনো ইস্যু না। আমাদের কাছে এখন ইস্যু হচ্ছে গণতন্ত্র, আমার অধিকার। আমার সাংবিধানিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করা। আমরা এখন ভোট দিতে পারি না। কথা বলতে পারি না। লিখতে পারি না।’

 

দেশে জঙ্গিবাদ নেই, দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কথা নেই বার্তা নেই, গ্রামের মধ্যে জঙ্গি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে তাদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এগুলো সব সাজানো। বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি আছে বলে আমি মনে করি না। তবে মৌলবাদ আছে।’

 

তাঁর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ মৌলবাদকে প্রশ্রয় ও উসকে দিচ্ছে। তিনি দাবি করেন, ‘বিএনপির সঙ্গে মৌলবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগ সব সময় উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে চায়। বাংলাদেশে যত অপকর্ম হয়েছে, সেগুলো আওয়ামী লীগ করেছে। গণতন্ত্রের যা কিছু অর্জন, সবই তারা শেষ করে দিয়েছে।’

 

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের হালহকিত একই আছে। এই নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগ সরকার যত দিন আছে, ততদিন কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

 

জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রক্ষা ও আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *