আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এতদিন বিএনপি হোয়াইট হাউজের দিকে তাকিয়ে ছিলো- বাইডেন সাহেব নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আওয়ামী লীগকে হটিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাবে। কিন্তু আজ দেখলেন বাইডেন সাহেব নিজেই সেলফি তুলেছেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। সঙ্গে পুতুলও ছিলো। এই দৃশ্য দেখে বিএনপির এখন কী হবে? এখন কোন যাত্রা। পতনযাত্রা না, পশ্চাৎযাত্রা। তারা পেছনে হাঁটতে শুরু করবে। কেবল পেছনে।’
শনিবার বিকেলে সারাদেশে বিএনপির আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সন্ত্রাস আর ভাঙচুরের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের পদযাত্রায় জনগণ নেই, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই। কোথায় গেল তাদের উত্তাল তরঙ্গের ঢেউ? তাদের গণমিছিলের যে হাল দেখলাম তাতে মনে হয় না জনগণ আর গণমিছিলে আসবে। বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তির শক্তিকেন্দ্র। এ বলয় বন্ধুত্বের বলয়, এখানে কোনো শত্রুতা নেই। জাতির পিতা বলে গেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সারাদেশে মিথ্যার মহামারি ডেকে এনেছে। তাদের গ্রামের নেতাকর্মীরাও মিথ্যা বলে।’
দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এ শান্তি সমাবেশ চলবে। বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন অন্ধকার দেখছে। মিছিল শেষ করে হাত-পা গুটিয়ে শুয়ে পড়েছে। একটারও রাতে ঘুম আসবে না। রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসছেন বাংলাদেশে। এখন শুধু আসবে। এখন নেগেটিভ আসবে না, সব পজিটিভ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির উপরে উপরে আন্দোলন, তলে তলে নির্বাচন। সব আসনে প্রার্থী দিবে। প্রার্থী না দিলে তারেক রহমানের মনোনয়ন বাণিজ্য কেমনে হবে? বিএনপি খেলায় হেরে গেছে। শুধু নির্বাচন হওয়া বাকি। ফাইনাল খেলায়ও হেরে যাবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন কী খবর? সিঙ্গাপুর থেকে শলাপরামর্শ নিয়ে এসেছেন। সেই আন্দোলন এখন ভুয়া। ২১ দফা, এক দফা, ২৭ দফা, বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। কোনো জনসমর্থন নেই।
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ প্রমুখ।