রাইসুল ইসলাম লিটন, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া মৌজার ১৪ শতাংশ ভূমি খারিজ করার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে দেওপাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, দেওপাড়া মৌজার ৩৯৭ ও ৩১৩ দাগের ১৪ শতাংশের কাতে মোট ২৮ শতাংশ ভূমি মৃত রজত উল্লাহ ও মৃত নছর আলী পরস্পর এওয়াজনামা দলিল করে মালিকানা নেন। পরে রজবউল্লাহ তার প্রাপ্ত ১৪ শতাংশ ভূমি তার স্ত্রী কদভানুর নামে ১৯৬৬ সালে রেজিষ্ট্রি করে দেন। কদভানু নিঃসন্তান হওয়ায় তার ওয়ারিশগণ রিয়াজ উদ্দিন গংরা ওই ভূমি প্রাপ্ত হন। সম্প্রতি ওই ভূমির খারিজ করার লক্ষ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব গোবিন্দ চন্দ্র গোপ ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ নেয়। কিন্তু প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও তিনি ওই ভূমির খারিজ না দিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করে। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এ কারণে তিনি ওই ভূমির খারিজ দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
দেওপাড়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি নিজে উপস্থিত থেকে ওই জমির খারিজ করার জন্য ইউনিয়ন ভূমির অফিসের নায়েব গোবিন্দ চন্দ্র গোপকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হলেও তিনি খারিজ না দিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করেছেন।
এছাড়া ভূক্তভোগি বক্তার আলী, বাহাজ উদ্দিন, সেলিম সহ অনেকেই জানান, দেওপাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তাদের নিকট থেকে খাজনা ও খারিজ বাবদ সরকারি ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন। অতিরিক্ত টাকা না দিলে তিনি কোন খারিজ বা খাজনার রশিদ দেন না।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা গোবিন্দ চন্দ্র গোপ জানান, খাজনার টাকা বেশি আদায় করার কোন সুযোগ নেই। অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে ভূমি মালিকরা খাজনা পরিশোধ করে থাকেন। তারা শুধু এ বিষয়ে পরামর্শ দেন। কেউ যদি দালালের খপ্পরে পড়ে খাজনা ও খারিজের বিষয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে থাকেন সে দায় তার নিজের। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
এসএইচ