দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ধন-সম্পদ, বাড়ি-গাড়ির প্রতি আমার কোনো লোভ নেই। আমি এসেছি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে, নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য নয়।’
রোববার (১৬ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অধ্যক্ষ সম্মিলন ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক, এটা বিএনপি-জামায়াত জোটের কখনোই ইচ্ছা ছিল না। মানুষকে পদদলিত করে রাখা, অন্ধকারে রাখা এবং তাদের শোষণ করে রাখাই তাদের লক্ষ্য। নিজেরা অবৈধ সম্পদের মালিক হবে- এটাই বোধহয় তাদের চেষ্টা।’
তিনি বলেন, ‘আজকের এই প্রজন্ম এরাই আগামী দিনে রাষ্ট্রের কর্ণধার। আমাদের আর কতদিন! বয়োবৃদ্ধ হচ্ছি কাজেই কবে আছি কবে নাই। তারপরও বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ, অর্থাৎ কাজ করে যাব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট সময়ে আমরা দেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে পেরেছি, আমরা নির্বাচনী ওয়াদা রক্ষা করি। আমরা বাংলাদেশকে যে বদলে দিতে চেয়েছিলাম, সেটা করতে পেরেছি। শুধু শিক্ষা নয়, সার্বিকভাবে দেশকে উন্নত করতে পেরেছি। যার কারণে দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। পরনির্ভরশীলতা থেকে আত্মমর্যাদাশীল হতে হবে।’
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর শিক্ষাসহ দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামরিক শাসকরা অস্ত্র তুলে দেয় মেধাবীদের হাতে, তাদের অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করার শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের। আমরা ক্ষমতায় আসার আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু নৌকায় ভোট দিয়েছে বলে ৬ বছরের শিশু থেকে কেউই বাদ যায়নি বিএনপি-জামায়াতের নিগ্রহ থেকে।’
এক/এগারোর সরকারের সময় আজকের দিনে নিজের কারাবন্দি হওয়ার ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “১/১১’র ইমার্জেন্সি আসার পর আমাকেই আগে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাস হারাইনি। তখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে, গণস্বাক্ষর পাঠানো হয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে। আন্তর্জাতিক চাপও তৈরি হয়। তারা বাধ্য হয়েছিল নির্বাচন দিতে। কখনো ঘাবড়াইনি, আত্মবিশ্বাস ছিল দেশের মানুষের ওপর। নানা প্রলোভন দেয়া হয়। নির্বাচন করবেন না, আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদায় রাখা হবে- এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বলেছিলাম আমাকে এসব লোভ দেখিয়ে লাভ নেই।’