সাইফুল ইসলাম মুকুল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর: রংপুরে একটি বাড়িতে আগুন নেভাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র ফুঁসে উঠেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ নিয়ে হামলা ও ভাঙচুরসহ পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে মহানগরীর খামারপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত নূর আলম স্থানীয় বাদল মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খামাড়পাড়ায় তাবলিগ মসজিদের পাশে ফকির চান নামের এক ব্যক্তির টিনশেড বাড়িতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই পাশের মাজেদ মিয়ার একতলা বাড়ির ছাদে উঠে এলাকাবাসী পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এরই মধ্যে নূর আলম নামের এক যুবক ছাদ থেকে পড়ে সিঁড়িতে লেগে গুরুতর আহত হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ বাড়ির মালিক মাজেদ মিয়া ধাক্কা দেওয়ায় ছাদ থেকে পড়ে যায় নূর আলম।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে নূর আলমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী মাজেদ মিয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পুলিশ তাদের নিবৃত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষ বাধে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বলেন, আগুন নেভাতে একসঙ্গে অনেকেই একটি বাড়ির ছাদে উঠেছিল। সেখান থেকে নূর আলম নামের এক যুবক পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। তবে কীভাবে ছাদ থেকে পড়েছে বা কেউ তাকে ধাক্কা দিয়েছে কি না, তা এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তিনি আরও বলেন ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বিক্ষুব্ধদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ অনেকেই আহত হয়েছেন।
এসএইচ