টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল কারাগারে লাল মিয়া নামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জেল সুপার মো. মকলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইলের জেল সুপার মো. মকলেছুর রহমান জানান, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী লাল মিয়া শ্বাসকষ্ট (অ্যাজমা) সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার(৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৭ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, গত বছরের ৮ জুন টাঙ্গাইলে মনিরুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে তার ভায়রাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং শ্যালিকাসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মাসুদ পারভেজ। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের কথা রায়ে উল্লেখ করা হয়। রায়ে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের মো. শামছু মিয়ার ছেলে রেজাউল ইসলাম রেজাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং রেজাউলের স্ত্রী আলো বেগম, বাসাইল উপজেলার খাটোরা গ্রামের মৃত নাসিম উদ্দিনের ছেলে লাল মিয়া, যশিহাটি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রেজভী ও দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বাসাইলের কাউলজানী গ্রামের আবু বক্কর ভূঁইয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া নিখোঁজ হন। তিনদিন পর পাশের মহেশখালী গ্রামের জমির আইল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা আবু বক্কর ভূঁইয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বাসাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে এ হত্যার সঙ্গে মনিরুজ্জামানের ভায়রা রেজাউল ইসলাম, শ্যালিকা আলো বেগমসহ আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে গত বছরের ৮ জুন বিচারক এই রায় দেন।
এসএইচ