ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড

বড় ম্যাচ, বড় লক্ষ্য, প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত- কোনোকিছুই যেন ভয় ধরাতে পারেনি ইংলিশ ওপেনারদের মনে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো মঞ্চে ভারতীয় বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছেন জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। এ দুজনের অপরাজিত ব্যাটে কোনো উইকেট না হারিয়েই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।

বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে ইংলিশদের নিখুঁত বোলিংয়ের সামনে ১৬৮ রানে থামে ভারতের স্কোর। জবাবে অ্যাডিলেডের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে কোনও উইকেট না হারিয়েই ম্যাচ জিতে নিয়েছে জশ বাটলারের দল। আগামী রবিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড।

সেমিফাইনালে বাবরদের যাওয়া নিশ্চিত হতেই ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ছিল আলোচনায়। সেই আলোচনা ভালো লাগেনি ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলারের। সংবাদ সম্মেলনেই ঘোষণা দেন ভারত-পাকিস্তানের ফাইনাল তিনি দেখতে চান না। যেই কথা সেই কাজ। বৃহস্পতিবার ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং ভারতকে কোণঠাসা করেই ম্যাচ জিতে ইংলিশরা।

১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামবে ইংল্যান্ড। ৯২-এর সেই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ২২ রানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ইংল্যান্ডের। ৩০ বছর পর সেই হারের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ এলো ইংলিশদের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের দেয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৪ বল ও ১০ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন জশ বাটলার ও অ্যালেক্স হেইলস।

রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই ভারতের বোলারদের ওপর আগ্রাসন চালানো শুরু করেন দুই ইংলিশ ওপেনার বাটলার ও হেইলস। ওভার প্রতি ১০ রান করে তুলে ভারতকে চেপে ধরে ২০১০-এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

উড়ন্ত সূচনায় পাওয়ার প্লের নির্ধারিত ছয় ওভারে বিনা উইকেট ৬৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। ১০.১ ওভারেই দলীয় সংগ্রহ শত রানের কোটা পার করে ইংলিশরা।

বাটলারের অপরাজিত ৪৯ বলে ৮০ আর হেইলসের হার না মানা ৪৭ বলে ৮৬ রানের ইনিংসে ভর করে ১০ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।

এর আগে অ্যাডিলেইডে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় টিম ইন্ডিয়া। লোকেশ রাহুলকে ৫ রানে আউট করে সাজঘরে ফেরান ক্রিস ওকস। দলীয় ৯ রানে ওপেনার রাহুল আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে ভারত।

এরপর চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক রোহিত। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে তিনিও খুব বেশি রান তুলতে পারেননি। সেমিফাইনালের ম্যাচে ৯৬.৪২ স্ট্রাইক রেটে ২৮ বলে ২৭ রান করেন তিনি। ৪টি চার হাঁকালেও মারতে পারেননি কোনো ছক্কা। ক্রিস জর্ডানের বলে আউট হন রোহিত।

এক প্রান্ত থেকে কোহলি ধরে খেলার চেষ্টা করলেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার সুরিয়া কুমার ইয়াদভ। ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদের বলে আউট হন তিনি। ১ চার ও ১ ছয়ে ১০ বলে ১৪ রান করে ফেরেন সুরিয়া কুমার।

নিজের হাফ সেঞ্চুরির পর দলীয় রান বাড়াতে বড় শট খেলতে গিয়ে স্যাম কারেনের হাতে ক্যাচ দেন কোহলি। ৪টি চার ও এক ছয়ে ৪০ বলে ৫০ রান করে ক্রিস জর্ডানের বলে ফেরেন তিনি।

কোহলি আউট হলেও মারকুটে ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন হার্দিক পান্ডিয়া। অপরাজিত থেকে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৩ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। পান্ডিয়ার সঙ্গে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রিশভ পান্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *