ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভানের সঙ্গে চিত্রনায়িকা পূজা চেরির একাধিক ছবি নিয়ে কয়েক দিন ধরে বেশ চর্চা চলছে। ছবিগুলো থাইল্যান্ডের ব্যাংককে তোলা এবং সেগুলো বেশ ঘনিষ্ঠ। তার মধ্যে একটি ছবিতে জোভান ও পূজা চেরিকে চুমু খেতে দেখা যাচ্ছে। তাতেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে দুই তারকার সম্পর্কের গুঞ্জন।
এমনটাও বলা হচ্ছে, জোভান ও পূজার সম্পর্ক অনেক দিনের। বর্তমানে তারা ব্যাংককে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন। কিন্তু ঘটনা কি আসলেই তাই? জানা গেছে, জোভান ও পূজার ওই ছবিগুলো একটি ওয়েব ফিল্মের শুটিংয়ের। নাম ‘পরী’। পরিচালক মাহমুদুর রহমান হিমি। সেখানে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন পূজা। তার বিপরীতে আছেন জোভান।
সেই শুটিংয়ের ছবি কেউ গোপনে তুলে তাতে রংচং লাগিয়ে নানা রকম রসালো গুঞ্জন ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরি। ব্যাংকক থেকে দেশের গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে চলমান এ গুঞ্জন নিয়ে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি পরোক্ষভাবে দিয়েছেন খারাপ কিছু ঘটানোর হুমকিও।
পূজা বলেন, ‘আমার যদি কিছু একটা হয়ে যায় এর দায়ভার কে নেবে? আমি যদি ভুলভাল কিছু একটা করে ফেলি তাহলে দায়ভার কে নেবে? যিনি বা যারা আমার শুটিংয়ের ছবি ছড়িয়ে মিথ্যে রটাচ্ছে তারা কেন এটা করছে? তাদেরও তো পরিবার আছে, তাদের বোঝা উচিত যে এসব ব্যক্তিমানুষকে কতটা ক্ষতি করে, আমি তো মানুষ আমারও তো পরিবার আছে…’
বিষয়টি নিয়ে নির্মাতা মাহমুদুর রহমান হিমির সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলো শুটিংয়ের ছবি। হিমি বলেন, ‘যেসব ছবি দেখছেন এসব ওয়েব ফিল্মের শুটিংয়ের অংশ। সেখানে আমরা গোপন ক্যামেরা দিয়ে শুটিং করেছি। এসব শুটিংয়ের বাইরের ছবি বলার কোনো অবকাশ নেই। ’
হিমি গোপন ক্যামেরা বললেও পূজা চেরি বলছেন, সেখানে অনুমতি নিয়েই শুটিং করা হয়েছে। পূজা চেরি রবিবার দুপুরে এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে অনুমতি নিতে পারিনি, পরে আমাদের সেখানকার প্রযোজক আইনগতভাবে সব ব্যবস্থা নেওয়ার পরে আমরা শুটিং করি। সেই শুটিংয়ের ছবি ছড়িয়ে মিথ্যে কথা রটানো হচ্ছে। ’
ছড়িয়ে পড়া স্থির ছবিতে জোভানের সঙ্গে যেভাবে দেখা গেছে সেভাবেই ওয়েব ফিল্মেও দেখা যাবে বলে জানান পূজা চেরি। তিনি বলেন, ‘সেখানে কোনো নেতিবাচক নেই। কেউ একজন গোপনে শুটিংস্পট থেকে ছবি তুলেছে। এরপর সে রং মিশিয়ে দেশে ছবি পাঠিয়ে নানা কথা বলছে। আর দেশের কিছু মানুষ সেভাবেই প্রচার করছে। সবার পরিবার আছে, মিথ্যে ছড়ানো অন্যায়, আমি আর কী বলব, তাদের ফ্যামিলি আছে, আমারও ফ্যামিলি আছে। তাদের বোঝা উচিত।’