আনন্দে ভাসছেন নায়ক জায়েদ খান

দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে নিজেকে ভাগ্যবান বলে দাবি করেছেন চিত্রনায়ক ও শিল্পী সমিতির নেতা জায়েদ খান। সোমবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এমনটাই লিখেছেন তিনি।

জায়েদ খানের পোস্ট থেকে জানা যায়, সোমবার পিরোজপুরে অবস্থিত ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ-চীন মেত্রী সেতু’ পার হয়েছেন তিনি। সেতু পারাপারে নিজের গাড়ির জন্য ৩০ টাকা টোলও দিয়েছেন। টোল পরিশোধের সেই রশিদের ছবি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। সঙ্গে দিয়েছেন সেতুর উপরে তোলা নিজের কয়েকটি ছবিও।

ছবিগুলো পোস্ট করে ক্যাপশনে জায়েদ খান লিখেছেন, ‘পিরোজপুরের একজন জনসাধারণ হিসেবে আমি ভাগ্যবান এই সেতু পার হতে পেরে।’ পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

রবিবার পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর বেকুটিয়া পয়েন্টে নির্মিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সেতু’র উদ্বোধন হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করেন।

সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জায়েদ খানও আমন্ত্রিত ছিলেন এবং তিনি গিয়েছিলেনও। সে কথাও রবিবার এক পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেন অভিনেতা।

মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান বলেন, ‘এই সেতু উদ্বোধন হবে বলে আমি উত্তেজিত হয়ে পিরোজপুর চলে এসেছি। বড় আবেগের নদী এই কচা নদী, এখানে আমার বহু শৈশব স্মৃতি রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘এই সেতু আমার বাড়ি থেকে ৫ মিনিট দূরত্বে। আমরা ছোটবেলায় নদীর একটা ফেরি ধরতে কত কষ্ট করেছি। আগেভাগে গিয়ে নদীতে অপেক্ষা করতে হতো, ফেরি এলে তারপর উঠতাম। বরিশাল যেতে আমাদের কত সময় লাগত। এখন এই সেতু মাত্র দুই মিনিতে পার হতে পারি। বরিশাল যেতে পারছি মাত্র এক ঘণ্টায়। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, তার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’

এই সেতুর ফলে খুলনা ও বরিশালের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হয়েছে যার ফলে বাণিজ্যিকভাবে উপকৃত হবে পিরোজপুর জেলাবাসী- এমনটাই মনে করছেন জায়েদ খান। তিনি বলছেন, ‘এই সেতু হওয়ার ফলে পিরোজপুরের পেয়ারা ও সবজি দ্রুত ঢাকা পৌঁছবে। বরিশাল ও খুলনার সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।’

জায়েদ খান এই সেতুকে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের কাছে সত্যি এই সেতুটি দ্বিতীয় পদ্মা সেতু। আমরা যারা এই নদী নিয়মিত পার হতাম আমরা জানি এই সেতুর আবেগ। এটি আমাদের অঞ্চলের সত্যিই দ্বিতীয় পদ্মা সেতু।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *