৬ মাসে শেষ করতে হবে ধ.র্ষ.ণের বিচার, আগামীকাল থেকেই নতুন আইন কার্যকর

নজর২৪ ডেস্ক- ধ.র্ষ.ণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’ এর সংশোধনীতে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

 

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি আইনে পরিণত হবে। এর আগে এটির আইনি যাচাই (ভেটিং) হবে।

 

তিনি বলেন, যেহেতু সংসদ অধিবেশন আপাতত চলমান নেই, তাই সরকার সংশোধিত আইনটি একটি অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির পর থেকেই আইনটি কার্যকর হবে।

 

এদিকে গণমাধ্যমকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে জাতীয় সংসদের অধিবেশন না থাকায় রাষ্ট্রপতি এটিকে অধ্যাদেশ আকারে জারি করবেন।

 

মামলাটি কতদিনের মধ্যে শেষ করতে হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটি ১৮০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত আছে। তদন্ত বিচার পদ্ধতি সবকিছুই এর মধ্যে উল্লেখ রয়েছে। নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এটি করবে এবং শেষ করতে হবে ১৮০ দিনের মধ্যে। বিচারক যদি কোনও কারণে বদলি হয়ে যান সেক্ষেত্রেও বিলম্ব হয় অনেক সময়। তবে কোনও বিচারক চলে গেলে তিনি মামলা যে অবস্থায় রেখে যাবেন সে অবস্থা থেকে মামলা চালিয়ে যেতে হবে।’

 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গত কিছু দিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০’-এর খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। আইনের ৯(১) ধারায় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছিল। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে এই ধারায় ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এতে প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। তবে যেহেতু এখন সংসদের অধিবেশন নেই এবং আশু ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে, তাই রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ করতে পারবেন। ভেটিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ফাইনাল কার্যকর হয়ে যাবে।

 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ সংশোধনী শুধু আন্দোলনের প্রেক্ষিতে নয়, বিভিন্ন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আমরা দেখেছি। আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিসহ সবকিছু মিলিয়েই এ সিদ্ধান্ত এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকেও এটি আলোচনায় এসেছে। মানুষের অ্যাওয়ারনেসটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

 

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এই সংশোধনীর ফলে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে ব্যাপক ক্যাম্পেইন হচ্ছে। এর ফলে একটি পজিটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যারা এই ক্রাইমটি করবে তারা চিন্তা করবে এতে তো মৃত্যুদণ্ডের আদেশ রয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *