সেই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি

নজর২৪ ডেস্ক- ডাকসুর সাবেক (ভিপি) নুরুল হক নুর ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাময়িক বহিস্কৃত আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ঢাবি শিক্ষার্থীর করা ধর্ষণ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র অধিকার পরিষদ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এ প্রতিবেদন ওই শিক্ষার্থীকে হাসান আল মামুন কর্তৃক ধর্ষণের কোন প্রমাণ মেলেনি।

 

এ প্রতিবেদন ওই শিক্ষার্থীকে হাসান আল মামুন কর্তৃক ধর্ষণের কোন প্রমাণ মেলেনি।

 

প্রতিবেদন কমিটি জানায়, ঢাবি শিক্ষার্থীকে প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের মতো কোন ঘটনার তদন্ত কমিটি প্রমাণ পায়নি। এছাড়া ওই অভিযোগকারীও এ কমিটির কাছে কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি।

 

রবিবার (১১ অক্টোবর) ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষণ মামলার পর বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন।

 

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. বিন ইয়ামীন মোল্লা ও সদস্য তারেক রহমান ও রাজিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগকারীকে (ছাত্রী) বিভিন্ন মিডিয়ায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী বলে প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া সাংগঠনিক পরিচয়ের মাধ্যমে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা বলা হচ্ছে। আদতে অভিযোগকারী ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী নন। কখনো তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।

 

সেখানে আরও বলা হয়, অভিযোগকারী এজাহারে হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেও হাসান আল মামুন সেটি অস্বীকার করেছেন। তবে একই বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

এছাড়া ডাকসুর সাবেক ভিপি বিরুদ্ধে ওই মামলায় অভিযোগকারী এজহারে বলা আছে ২৪ জুন নুরুল হক নুরের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসার জন্য নীলক্ষেত দেখা করার কথা উল্লেখ করলেও অভিযোগকারীর সঙ্গে নুরের সরাসরি সাক্ষাৎ হয়নি। তবে আনুমানিক মাস তিনেক আগে অভিযোগকারী একবার নুরুল হক নুরের কাছে ফোন করে ঢাকায় এসে দেখা করবেন বলে জানালেও আর দেখা করেননি।

 

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ এনে লালবাগ থানায় মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রী। এতে হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।

 

পরদিন একই বাদী কোতোয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তবে ১৭ দিন পার হলেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন তিনি। টানা অনশনের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *