নজর২৪, সিলেট- চুল ও লম্বা দাড়ি কেটেও শেষ রক্ষা হলো না ধর্ষক তারেকের। নিজেকে অচেনা রূপে আবিস্কার করেও তাকে ধরা পড়তেই হলো র্যাবের হাতে।
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এজাহারভুক্ত আসামি তারেকুজ্জমান তারেককে সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় র্যাব-৯ এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৯ সিপিসি-৩ এর লেফটেনেন্ট কমান্ডার ফয়সল জানান, গণধর্ষণের ঘটনার পর সিলেট থেকে পালিয়ে যায় তারেক। পরে মাথার লম্বা চুল ও দাড়ি কেটে ফেলে সে, যাতে করে তাকে কেউ চিনতে না পারে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাব সিপিসি-৩ এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আপাতত তাকে র্যাব হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে মামলার এজাহারভুক্ত ৬ আসামিই এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। এছাড়া মামলায় এ পর্যন্ত ৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এজাহারভুক্ত ৬ জন ছাড়া আটক বাকি দুজনকেও এই মামলায় আসামি দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- সাইফুর রহমান, মাহমুদুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল হাসান, মাহফুজুর রহমান মাসুম, রাজন, আইনুদ্দিন ও সর্বশেষ তারেক। এর মধ্যে সাইফুর রহমান, মাহমুদুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল হাসান, রাজন ও আইনুদ্দিনকে ৫ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন ও আইনুদ্দিনকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
এর আগে রবিবার সকালে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। আর নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া গণধর্ষণের ঘটনায় রাজন মিয়া ও আইনুদ্দিনকে সোমবার সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সোমবার রাতে সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে মাহফুজুর রহমান মাসুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।