সর্বশেষ সংবাদ

যেভাবে মামুনুলের ‘ফাঁদে’ পা দিয়েছিল এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী

নজর২৪ ডেস্ক- মো. শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি তাঁর বড় বোন জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে লিপিকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডিতে বোনকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের স্ত্রী বলে উল্লেখ করেছেন।

 

গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা এই নারীর সঙ্গে এক বছর আগে তার বিয়ে হয়েছে বলে মামুনুল হক ওই নারীর ভাইয়ের কাছে দাবি করেন।

 

ওই নারীর ভাইকে শনিবার (১০ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে এ তথ্য জানান মামুনুল হক। শাজাহান সাজু নিজেই এই প্রতিবেদকের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

 

জানতে চাইলে শাজাহান বলেন, মামুনুল সাহেব আমাকে ডেকে নিয়ে আমার বোনকে বিয়ের কথা জানিয়েছেন। ২০২০ সালে তিনি আমার বোনকে বিয়ে করেন বলে জানান। এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাম্প দেখিয়েছেন। তবে এটি কাবিননামা নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি

 

তৃতীয় বিয়ের বিষয়ের মন্তব্য জানতে একাধিকবার মামুনুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার মন্তব্য জানা যায়নি। মোবাইলে খুদেবার্তা পাঠানো হলে তিনি রিপোর্টের বিষয়ে জানতে চান। তৃতীয় বিয়ের বিষয়ে লিখে পাঠানোর পর তিনি আর কোনও মন্তব্য করেননি।

 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে মাস্টার্স করার সময় এই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় মামুনুল হকের। ওই পরিচয়ের সূত্রে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। আড়াই বছর আগে ওই নারীর ডিভোর্স হয়। এরপর ওই নারীকে একটি মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেন মামুনুল হক। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার ক্ষেত্রে মামুনুল হক ভূমিকা রেখেছেন। ওই নারীকে ডিভোর্স করিয়ে কেরানীগঞ্জের একটি বাসায় রাখেন। ওই বাসায় মাঝে মধ্যেই যাতায়াত করতেন মামুনুল হক।

 

জানা গেছে, মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের পর এই নারীকে মামুনুল হক তার বড় বোন দিলরুবার মোহাম্মদপুরের বাসায় রেখেছেন। ওই ঘটনার পর থেকে এই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানান আত্মীয়-স্বজনরা।

 

মো. শাহজাহান বলেছেন, গত বুধবার তাঁর বড় বোন জান্নাতুল ফেরদৌস লিপির সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। এই সময় বোন জানিয়েছিলেন তিনি মোহাম্মদপুরে দিলরুবা আপার বাসায় আছেন। এর মধ্যে গতকাল মামুনুল হক তাঁকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে জানান তাঁর বোন জান্নাতুল ফেরদৌস লিপিকে তিনি বিয়ে করেছেন। মামুনুল চুক্তিনামা দেখান।

 

তবে আজ পর্যন্ত তিনি বোনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেননি। তাঁর বোন বর্তমানে কোথায়, তা জানা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বোনকে নিরাপত্তা দেওয়া ও অভিভাবকের কাছে হস্তান্তরের জন্য তিনি আইনি সহায়তা চান।

 

এর আগে গতকাল শনিবার রাতে নিজের ও মায়ের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পল্টন থানায় মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ওরফে ঝর্নার ছেলে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। জান্নাত মামুনুল হকের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে গিয়েছিলেন। সেখানে মামুনুল হক তাঁকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন

ঝালকাঠিতে কাভার্ড ভ্যান চাপায় দুজন নিহত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠি নামক স্থানে পন্যবাহী কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মোটর সাইকেলে থাকা দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, উপজেলার পুর্ব রাজাপুর...

সেরা পঠিত