আন্তর্জাতিক ডেস্ক- সীমান্তে চীন-ভারত উত্তেজনা চলাকালে দায়িত্ব পালনের জন্য পিপলস্ লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) বেশ কয়েকজন সদস্য কাঁদতে কাঁদতে রওনা হয়েছে ভারত সীমান্তের দিকে। এ রকম একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশিত হয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর।
ভারত-চীনের সীমান্তে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখন ২০ সেপ্টেম্বর ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায় পিপল লিবারেশন আর্মির সদস্যরা কাঁদতে কাঁদতে সীমান্তের দিকে রওনা হচ্ছেন। ‘তাইওয়ান নিউজ’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে এই দৃশ্য। পাকিস্তানি কৌতুকাভিনেতা জায়েদ হামিদ ভিডিওটি আপলোড করেন। এতে দেখা যায়, বাসের ভিতরে বসা কম বয়সের পিএলএ সেনারা কাঁদছে।
জায়েদ হামিদ লিখেছেন, ভারতীয় সেনাদের মোকাবিলা করতে এদের লাদাখ সীমান্তে বদলি করা হয়েছে। চীনের ‘এক সন্তানই যথেষ্ট’ নীতির বিরূপ প্রভাবে সেনা রিক্রুট করায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই কাঁচা বয়সীদের সৈন্য বানাতে হচ্ছে।
পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ বন্ধু চীনের। তা সত্ত্বেও হামিদ দেশটির অপক্ব ছেলেদের পিএলএর সদস্য বানানো নিয়ে মশকরা করেন। তিনি লেখেন, ‘আমরা পাকিস্তানিরা তোমায় সমর্থন করি চীন। সাহসী হও।’
ফুটেজটি মূলত পোস্ট করা হয়েছিল চীনের ‘ফুইয়াং সিটি উইকলি’ পত্রিকার উইচ্যাট পেইজে। তবে কিছুক্ষণ পরই ওটা মুছে ফেলা হয়েছে।
মূল ভিডিওতে দেখা যায়, ১০ জন নতুন সৈন্য ফুইয়াং রেলস্টেশনে এসেছে হেবেই প্রদেশের মিলিটারি ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য। এরা সবাই কলেজছাত্র। এদের মধ্যে পাঁচজন তিব্বতে চাকরি করতে স্বেচ্ছায় যোগদান করে। ভিডিওতে দেখা যায়, এ সৈন্য পিএলএ সংগীত ‘সবুজ ফুল ফোটাই মোরা’ গাইবার সময় কান্না চেপে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করছে।
এদিকে চীনা সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের দাবি, তাইওয়ান ইচ্ছে করে চীনা সেনাদের একটি আবেগপূর্ণ ভিডিও নিয়ে মিথ্যে প্রচার করছে। ওই সেনারা সামরিক গান গাইতে গাইতে তাদের বাবা মা, পরিবারের লোকদের বিদায় জানাচ্ছিল, তাই তাইওয়ানের সংবাদমাধ্যম যা বলছে, তাদের মানসিক অবস্থা মোটেই তেমনটা ছিল না। যাঁরা এই ভিডিওটি রিপোস্ট করেছেন, তাঁরা অনেকেই ভারতের বাসিন্দা বলেও তাদের দাবি।