নজর২৪ ডেস্ক- বেশিরভাগ ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি জটিলতায় বিভিন্ন স্থলবন্দরে দিনের পর দিন আটকে থাকায় পচে গেছে। দূর দূরান্ত থেকে পেঁয়াজ কিনতে হিলি স্থলবন্দরে এলেও পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ায় কিনছেন না কেউই। এতে করে লোকসানের ঝুঁকিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে, বিভিন্ন স্থলবন্দরের সীমান্তের ওপারে এখনও অপেক্ষায় রয়েছে শতশত ট্রাক।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে টানা পাঁচদিন আটকে থাকার পর শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অবশেষে বাংলাদেশে ঢোকে নিষেধাজ্ঞার আগে এলসি করা ও এলসির বিপরীতে টেন্ডার করা ভারতীয় পেঁয়াজের ট্রাক। এতে আমদানিকারকদের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের মাঝেও স্বস্তির ছাপ পড়ে। তবে হিলি স্থলবন্দরে মাত্র ১১টি ট্রাক আসার পরই বন্ধ হয়ে যায় এই কার্যক্রম।
ব্যবসায়ীরা জানান, ওপারে এখনও অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে দেড় শতাধিক ট্রাক। তবে, লাখ লাখ টাকার পেঁয়াজ আমদানি করলেও, গরমের মধ্যে বেশ কয়েকদিন বন্দরে আটকে থাকায় বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গেছে; এমনকি পেঁয়াজ পচে পানি বের হয়ে গেছে বলেও জানান তারা। পাইকার এলেও পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না তারা।
আর এসব নষ্ট পচা পেঁয়াজ গোডাউনের বাইরে রাখায় দুর্গন্ধে বিপাকে পড়ছেন পথচারীরা। বেশিরভাগ পেঁয়াজ পচেই পানি বের হয়ে গেছে বলেও জানান তারা।
আমদানিকারকদের অভিযোগ, দুই দেশের সরকারকে ট্যাক্স দেয়ার পরও বারবার তাদের এমন ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। যারা বিভিন্ন আড়তে কাজ করেন পচে পানি বের হয়ে যাওয়ায় তারাও ঠিক মতো কাজ করতে পারছেন না বলে জানান তারা।
এদিকে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আগের এলসিকৃত পেঁয়াজ বোঝাই কোনো ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকেনি। ওপারে এখনো অপেক্ষায় রয়েছে ১৮ থেকে ২০টি ট্রাক। এ অবস্থায় আমদানি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় লোকসান কমাতে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারেই কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, ‘ভারত সরকার গত সোমবার হঠাৎ করে কোনও কিছু না জানিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এর পরে শুক্রবার একটি নোটিফিকেশন জারি করে যে, গত রবিবার টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজগুলো তারা রফতানি করবে। সেই মোতাবেক শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মাত্র ১১টি ট্রাকে ২৪৬ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে। যে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ রফতানি করেছে তার অধিকাংশই ইতোমধ্যে পচে নষ্ট হয়ে গেছে। আমদানিকারকরা এসব পেঁয়াজ নিয়ে এসে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’