নজর২৪ ডেস্ক- বিষণ্নতা ও কিছুটা কষ্ট নিয়ে আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর চলে গেলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। একেবারে চলে গেলেন, না সাময়িকভাবে গেলেন— তিনি নিজেও জানেন না। তবে, বাংলাদেশে ফিরে আসতে চান।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর সোয়া ৪টার দিকে গণমাধ্যমকে এই বিজ্ঞানী বলেন, এখন আমি বিমানবন্দরে অবস্থান করছি। সিঙ্গাপুরে চলে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তো আমি সব সময়ই আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলাম। এবার যাওয়ার আগে কেন যেন মনটা খুব বিষণ্ন। খুব কষ্ট অনুভব করছি। আমার ওয়ার্ক পারমিট হবে না, এমন সিদ্ধান্তও কিন্তু জানিয়ে দেওয়া হয়নি। কষ্টের কারণ হয়তো, এত মান সম্পন্ন কিট উদ্ভাবন করলাম, এখনো অনুমোদন পেলাম না।’
সিঙ্গাপুর থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন ড. বিজন। তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে শিক্ষকতা করছিলেন। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে পূব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি তা শনাক্তে অ্যান্টিজেন্ট ও অ্যান্টিবডি কিটের উদ্ভাবন করেন। তবে তা এখনো অনুমোদন দেয়নি সরকার।
গত জুলাইয়ে তার ওয়ার্ক ভিসার মেয়াদ শেষ হয় । তারপর ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উত্তর দেয়া হয়নি। ফলে কাজ করতে না পেরে এক ধরনের বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়লেন ড. বিজন। ওয়ার্ক ভিসার অনুমতি পেলে তিনি আবার বাংলাদেশে কাজে ফিরতে পারবেন।
গত ২৯ আগস্ট এ বিষয়ে ড. বিজন বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে অসংখ্য বিদেশি চাকরি করেন। তাদের যদি সমস্যা না হয়, তাহলে আমার সমস্যা হবে কেন?’
ওইদিন এই বিজ্ঞানী আরও জানিয়েছিলেন, তিনি ২০০২ সালে সিঙ্গাপুর সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। সিঙ্গাপুরের নিয়ম অনুযায়ী চাকরি নেয়ার পর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।