আন্তর্জাতিক ডেস্ক- ইসরায়েলের সাথে দুই আরব দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকের ঘোষণা এসেছে আগেই। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে সম্পন্ন হলো চুক্তি স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা। ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান ছাড়াই পশ্চিমাদের তৈরি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র স্থানীয় সময় দুপুরে হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে তিন দেশের মধ্যে এ চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু, আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ আল জায়ানি নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তিন দেশই চুক্তিটিকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছে।
এদিকে, ঐতিহাসিক এ চুক্তিকে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন সূর্যোদয় বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ আরব দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে পুরোপুরি স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হল।
এর আগে, ১৯৭৯ সালে মিশর এবং ১৯৯৪ সালে জর্ডান ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল।
হোয়াইট হাউজে সমবেত অতিথিদের উদ্দেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প এ চুক্তির ব্যাপারে বলেছেন, কয়েক দশকের বিভক্তি এবং সংঘাতের পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যাত্রা শুরু হলো।
ইতিহাসের পথপরিক্রমা বদলে দিতেই আজকের এই জমায়েত।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্য দিয়ে সব ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষই একযোগে শান্তি ও সমৃদ্ধির মধ্যে বাস করবে। আজ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের তিনদেশ একসঙ্গে কাজ করতে চলেছে; তারা এখন বন্ধুও।
এ ব্যাপারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বলেছেন – আজ ইতিহাসের নতুন অধ্যায় শুরুর দিন। এ চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে শান্তির নতুন ভোরের সূচনা হল।