অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর আত্মহত্যার ঘটনায় আলোচনায় আসে ভিডিও চ্যাটিং অ্যাপ বিগো লাইভ। নিষিদ্ধ এই প্ল্যাটফর্মে পছন্দের অভিনেত্রীকে দেখে অবাক হন অনুরাগীরাও। কারণ বিগো অ্যাপে নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবহারকারীরা।
বিগো লাইভ নিয়ে আলোচনা হিমুর পর আলোচনায় আসছে এই প্লার্টফর্মের সঙ্গে নাকি যুক্ত আছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী। যা নিয়ে সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিগো লাইভে মৌসুমীর ভিডিও রয়েছে। লাইভ করে মোটা অঙ্কের টাকাও নিয়েছেন। সেসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে।
মৌসুমীকে নিয়ে এমন খবরে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন তার স্বামী অভিনেতা ওমর সানী। মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি প্রশ্ন করেন, মৌসুমী কবে বিগো লাইভ করেছে?
যারা এমন খবর প্রচার করেছেন তাদের উদ্দেশে ওমর সানী লিখেছেন, কবে বিগো লাইভ করেছে মৌসুমী? প্রমাণ দিতে হবে, স্টুপিড। তার কোনোদিন বিগো আইডি ছিল না।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে ওমর সানী বলেন, ‘কারা এসব নিউজ করেছে, আমি তাদেরকে চিনি। শুধু এতটুকুই বলবো- তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’
তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, কোনো পদক্ষেপ নেব না। সবকিছুই আল্লাহর ওপর ছেড়ে দেব। যারা আমার স্ত্রীর মানহানি করেছেন, আল্লাহ তাদের বিচার করবেন।’
নব্বই দশকে আনন্দবিচিত্রায় ফটোসুন্দরী নির্বাচিত হয়েছিলেন মৌসুমী। এরপর টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছে তার। প্রথম সিনেমায় সবার প্রশংসা লাভ করেন মৌসুমী।
মৌসুমীর তিন দশকের অভিনয়জীবনে দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ২০০৩ সালে ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ এবং ২০০৬ সালে ‘মেহের নিগার’ চলচ্চিত্র দুটি পরিচালনাও করেছেন মৌসুমী।
ওমর সানী ও মৌসুমী ১৯৯৫ সালের ২ আগস্ট বিয়ে করেন। এ জুটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আদর্শ তারকা দম্পতি বলেও পরিচিত। তাদের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান ফারদিন ও ফাইজাহ।