প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ নভেম্বর দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশের রেল সংযোগ চালু হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১ ডিসেম্বর থেকে চলবে ঢাকা-কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী কোচের রেক দিয়েই ঢাকা-কক্সবাজার রুটের বিরতিহীন ট্রেন চালাবে রেলওয়ে।
তার আগে ট্রেন চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) এসিওপিএস মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সময়সূচি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামে ট্রেনটি চলবে। ট্রেনটির নম্বর ৮১৩/৮১৪। এতে ৭৮০টি সিট থাকবে। ১৬/৩২ লোডের ট্রেনটি ঢাকা থেকে সোমবার ও কক্সবাজার থেকে মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে।
‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ঢাকা থেকে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছবে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে। আর কক্সবাজার থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের প্রথম ট্রেনের নামকরণ করা হয়েছে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহেই নতুন এই ট্রেনের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রথম পর্যায়ে ১ ডিসেম্বর এককভাবে কক্সবাজার এক্সপ্রেস চলাচল করলেও আগামী বছরের শুরুতে এই বহরে যুক্ত হচ্ছে আরো সাত জোড়া আন্তঃনগর এবং কমিউটার ট্রেন।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে শোভন চেয়ার (নন-এসি সিট) শ্রেণিতে প্রতিটি সিটের ভাড়া ৫০০ টাকা ও এবং স্নিগ্ধা (এসি সিট) শ্রেণিতে প্রতিটি সিটের ভাড়া ৯৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রথম শ্রেণি চেয়ার ৬৭০ টাকা, প্রথম শ্রেণির বার্থ/সিট ১ হাজার ১৫০ টাকা এবং এসি বার্থের টিকিটের দাম জনপ্রতি ১ হাজার ৭২৫ টাকা।
তবে ননস্টপ ট্রেনের ক্ষেত্রে শোভন চেয়ার ৫০ টাকা ভাড়া বাড়বে। একই সঙ্গে স্নিগ্ধা, প্রথম শ্রেণি, এসি বার্থের ভাড়াও ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়বে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে টিকিট বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বৃহস্পতিবার আগাম টিকিট বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।