সদ্যপ্রয়াত চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হয়েছে সংসদীয় আসন ঢাকা-১৭। এই আসনে নতুন সংসদ সদস্য (এমপি) কে হতে পারেন তা নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। তবে এই আলোচনায় আগ্রহ যেন বেশি বিনোদন জগতের কর্মীদেরই।
গত সোমবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তার মৃতুর পর এই আসনে এরই মধ্যে এসেছে চিত্রনায়ক ফেরদৌস, অভিনেতা সিদ্দিকের নাম। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো আরও এক নায়কের নাম। তিনি আলমগীর।
সিদ্দিক নিজে নিজেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমপি হতে চাইছেন তিনি। নায়ক ওমর সানি চাইছেন এই আসনে এমপি পদে নির্বাচিত হোন আরেক নায়ক ফেরদৌস।
আর সর্বশেষ এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা অঞ্জনা বলেছেন, চিত্রনায়ক আলমগীরই এই আসনে উপযুক্ত ব্যক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে শুক্রবার এ কথা বলেন তিনি।
ভেরিফায়েড আইডিতে অঞ্জনা রহমান লেখেন, সদ্যপ্রয়াত কিংবদন্তি চিত্রনায়ক এবং ঢাকা-১৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আকবর হোসেন খান পাঠান ফারুক ভাই আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়াতে চলচ্চিত্র শিল্পে যেমন শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তেমনি শূন্যতা বিরাজ করছে এই আসনটিতে। চলচ্চিত্র শিল্প থেকে অনেকে চাচ্ছে এই আসনটিতে নৌকার প্রার্থী হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করতে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যাকে মনোনীত করবে সেই হবে এই আসনের নৌকার মাঝি।
অঞ্জনা রহমান লেখেন, আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের একজন জীবন্ত কিংবদন্তি মহারথী জননন্দিত নায়ক প্রিয় আলমগীর ভাই। যার অবদান এই চলচ্চিত্রশিল্পে অতুলনীয়, শুধুমাত্র চলচ্চিত্রশিল্পই নয়, সামাজিক বিভিন্ন ক্ষত্রে যার অনন্য অবদান মাইলফলক এই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। আপনারা অনেকে বলতে পারেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ব্যাপারে আলমগীর ভাই এর অবদান কী? এই ক্ষেত্রে বলতে গেলে আলমগীর ভাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বেড়ে উঠেছেন সেই শৈশব থেকেই। একজন প্রকৃত শিল্পী রাষ্ট্রের সম্পদ চলচ্চিত্রশিল্প হচ্ছে দেশের সবচাইতে বড় শক্তিশালী গণমাধ্যম। আর আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারের সবচাইতে বড় একজন গার্ডিয়ান হলেন প্রাণপ্রিয় আলমগীর ভাই।
এক সময়ের জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা লেখেন, ফারুক ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো যদি কারো মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয় তিনি একমাত্র আলমগীর ভাই। নায়ক আলমগীর এমন একজন ব্যক্তি যিনি নিরলস ভাবে জনগণের কল্যাণের লক্ষে কাজ করবেন। তিনি সর্বদা স্পটবাদী ও অসত্যের সাথে তিনি কোনোদিন আপোষ করেননি। তিনি একজন মহান দানবীর এবং এই দানের কথা তিনি গোপনীয় ভাবে নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন।
সংসদ সদস্য না হয়েও তিনি যা করেছেন এদেশের অনেক সংসদ সদস্যও তা করতে পারেননি উল্লেখ করে অঞ্জনা রহমান লেখেন, তিনি মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মাণ করেছেন, স্কুল নির্মাণ করেছেন এবং প্রতিনিয়ত তিনি দুঃখী মানুষের সাহায্যার্থে কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে নিভৃতে।
এরকম মহৎ হৃদয়বান ব্যক্তি রাজনীতিতে আসলে দেশ ও জনগণের শুধু উপকারই হবে না, জনমনে এক প্রকার শান্তি আবির্ভূত হবে, উল্লেখ করেন অঞ্জনা রহমান।
অঞ্জনা রহমান লেখেন, আলমগীর ভাই না চাইলেও আমাদের চলচ্চিত্র পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা সবাই চাই প্রয়াত ফারুক ভাইয়ের অসম্পন্ন কাজগুলো এই কিংবদন্তি চিত্রনায়ক মহানুভবতা সম্পন্ন সুমহান ব্যক্তি আলমগীর ভাইয়ের হাতে পূর্ণতা পাক।