নজর২৪, ঢাকা- বিদেশে টাকা পাচারকারীদের মধ্যে সরকারি কর্মচারী বেশি। এছাড়াও কিছু ব্যবসায়ী রয়েছেন। এ বিষয়ে প্রাথমিক কিছু সত্যতা পেয়েছে সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এ কথা জানিয়েছেন।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কানাডায় খবর নিয়েছি, প্রাথমিক কিছু সত্যতা পেয়েছি। মনে করছিলাম রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু দেখা গেলো রাজনীতিবিদ চারজন। আর সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। এছাড়াও কিছু ব্যবসায়ী আছে। কিন্তু বিদেশে যদি কেউ বৈধভাবে টাকা নেয়, তাহলে কোনো আপত্তি নেই। তবে অবৈধভাবে পাচার করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
করোনা মহা’মারিতে কতজন প্রবাসী দেশে ফেরত এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সময়ে এক লাখ ৬০ হাজার প্রবাসী দেশে এসেছেন। অধিকাংশ এসেছেন সৌদি থেকে।
তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭শ কোটি দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে। যাতে প্রবাসীরা দেশে ব্যবসা করতে পরেন। এছাড়া আমরা দেশ থেকে ৭০ কোটি টাকা নগদ দিয়েছি বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে যাচ্ছেন এবং এটি খুব দুঃখজনক বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের লোক যাচ্ছে এবং মানবেতর জীবনযাপন করে,এটি খুবই দুঃখজনক। এভাবে গেলে দেশের বদনাম হয়। তাদের অবস্থাও খারাপ থাকে।’
নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশে লোক পাঠাচ্ছে শুধু তাদের নয়, যারা যাচ্ছে তাদের এবং তাদের পরিবার, যারা তাদেরকে উৎসাহিত করে যাওয়ার জন্য, তাদেরকেও আমরা আইনের আওতায় আনবো।’
একজন ৭-৮ লাখ টাকা খরচ করে যায়। এই টাকা দিয়ে তারা দেশে ব্যবসা করতে পারতো বলে তিনি জানান।